জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দের সভাপতি মাওলানা মাহমুদ আস‘আদ মাদানী বলেছেন, “রাষ্ট্র-প্ররোচিত সাম্প্রদায়িকতা থেকে বড় কোনো অভিশাপ নেই।” তিনি বলেন, গোরক্ষার নামে সহিংসতা এবং তহসিন পুনাওয়ালা নির্দেশাবলীর লঙ্ঘন ভারতের সংবিধান ও আইনের প্রতি অবমাননা।
সম্প্রতি এলাহাবাদ হাইকোর্ট গোরক্ষক এবং জনতার হাতে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে। আদালত বলেছে, রাজ্যে ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় বিদ্বেষ ও ভয়ঙ্কর জন-হিংসা সরকারের ব্যর্থতারই পরিচায়ক। আদালত প্রশ্ন তুলেছে, কেন তহসিন পুনাওয়ালা মামলার (২০১৮) নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়িত হয়নি এবং কেন গোরক্ষার নামে নিরপরাধ মানুষদের হয়রানি ও হত্যা করা হচ্ছে।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, জনতার হাতে আইন তুলে নেওয়া কোনো সভ্য সমাজে বরদাশতযোগ্য নয়। এসব ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
মাওলানা মাদানী বলেন, আদালতের পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এটি শুধু একটি রাজ্যের নয়, গোটা দেশের জন্য সতর্কবার্তা। তিনি আরও বলেন, “সংবিধান সকল নাগরিককে সমান অধিকার দিয়েছে। অথচ আজ ধর্মের নামে মানুষকে বিভক্ত করা হচ্ছে। প্রশাসন, পুলিশ ও রাজনৈতিক মহলের মধ্যে নীরব সমর্থন দেখা যাচ্ছে, যা গভীর উদ্বেগজনক।”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আদালতের নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে এবং তহসিন পুনাওয়ালা নির্দেশনার পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন লজ্জাজনক ঘটনা আর না ঘটে।
এলাহাবাদ হাইকোর্ট গোরক্ষা-সংক্রান্ত সহিংসতা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তীব্র সমালোচনা করেছে।
আদালত বলেছে, রাজ্যে ধর্মীয় ঘৃণা ও জন-হিংসা সরকারের ব্যর্থতার ফল।
মাওলানা মাহমুদ আস‘আদ মাদানী বলেছেন, রাষ্ট্র-প্ররোচিত সাম্প্রদায়িকতা জাতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
আদালতের ২০১৮ সালের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন।
