Close Menu

    ইসলামি ঐক্য ভৌগোলিক সীমায় বাঁধা নয়”—মাওলানা ফজলুর রহমানের ভাষণ ঢাকায় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে

    নভেম্বর ১৩, ২০২৫

    মাওলানা ফজলুর রহমানের সফর: দুই দেশের ধর্মীয় সম্পর্ক জোরদারে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রত্যাশা

    নভেম্বর ১০, ২০২৫

    ধর্মবিরোধী গান? মাওলানা মাহমুদ মাদানীর সতর্কবার্তা

    নভেম্বর ৯, ২০২৫
    Facebook X (Twitter) Instagram
    ইজহারে হক: হকের কথা বলে
    • হোম
    • প্রবন্ধ
      1. প্রকৃত আহলে সুন্নত ওয়াল জমা’ত পরিচিতি
      2. মওদুদী মতবাদ
      3. মওদুদী ফিতনা জানতে
      4. কুরআন ও হাদীসের আলোকে মওদূদী মতবাদ
      5. শরীয়তের কাঠগড়ায় মওদুদী জামাতের মতাদর্শ
      6. মওদূদী মতবাদ- এক আয়নায় তিন চেহারা
      7. ইসলাম ও মওদুদীবাদের সংঘাত
      8. ইসলাম ও রাজনীতি
      9. শিয়া মতাদর্শ
      10. কাদিয়ানী মতবাদ
      11. ফিতনায়ে ইনকারে হাদীস
      12. বাতিল যুগে যুগে
      13. View All

      আহলে সুন্নতের ফিক্বাহ শাস্ত্রের ইমাম: ইসলামী আমলের ক্ষেত্রে বিদয়াতীদের চক্রান্ত

      মে ২৯, ২০২৪

      আহলে সুন্নতের আক্বীদামতে মহানবীর মর্যাদা: অতি ভক্তি কিসের লক্ষণ

      মে ২৮, ২০২৪

      রেজভীদের চক্রান্ত হুবহু ইবনে সাবার চক্রান্তের মত: রাসূলকে আলিমুল গাইব বলা সাবায়ী চক্রান্ত:

      মে ২৮, ২০২৪

      আহলে সুন্নত ওয়াল জমা’ত সুবিন্যস্ত হওয়ার ইতিহাস

      মে ২৮, ২০২৪

      জামায়াত কোনো ইসলামী দল নয়, বাতেল মতবাদের সঙ্গে ঐক্য সম্ভব নয়: পীর সাহেব মধুপুর

      নভেম্বর ৯, ২০২৫

      সাহাবী-বিদ্বেষী জামায়াত: তাদের ঈমানই প্রশ্নবিদ্ধ: হেফাজত আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী

      নভেম্বর ৭, ২০২৫

      আল্লাহর অঙ্গীকার অটুট, কুরআনের রূহ অম্লান — মওদুদী মতবাদের বিভ্রান্তি বিশ্লেষণ

      নভেম্বর ৩, ২০২৫

      মওদুদীর ভ্রান্ত আকীদাসমূহ: আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের দৃষ্টিকোণ

      নভেম্বর ২, ২০২৫

      জামায়াত কোনো ইসলামী দল নয়, বাতেল মতবাদের সঙ্গে ঐক্য সম্ভব নয়: পীর সাহেব মধুপুর

      নভেম্বর ৯, ২০২৫

      সাহাবী-বিদ্বেষী জামায়াত: তাদের ঈমানই প্রশ্নবিদ্ধ: হেফাজত আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী

      নভেম্বর ৭, ২০২৫

      আল্লাহর অঙ্গীকার অটুট, কুরআনের রূহ অম্লান — মওদুদী মতবাদের বিভ্রান্তি বিশ্লেষণ

      নভেম্বর ৩, ২০২৫

      মওদুদীর ভ্রান্ত আকীদাসমূহ: আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের দৃষ্টিকোণ

      নভেম্বর ২, ২০২৫

      মওদূদী সাহেব যেমন সাহাবায়ে কিরামকে সত্যের মাপকাঠি মানতে নারাজ তেমনি আম্বিয়ায়ে কিরাম, সম্পূর্ণ নিষ্পাপ বলতেও নারাজ

      সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩

      দ্বীন সম্পর্কে মওদূদী সাহেবের কয়েকটি বক্তব্য

      সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩

      মওদূদী সাহেবের ব্যাপারে কতিপয় প্রশ্নের সমাধান

      সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩

      উসূলে হাদীস সম্পর্কে মওদূদীর বক্তব্য: “আদি যুগের আবোল-তাবোল প্রলাপ কে শুনে ?”

      সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩

      সুন্নাত সম্পর্কে মওদূদীর বক্তব্য: “সুন্নাতের অনুসরণ করা বিদয়াত ও কুসংস্কার”

      সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩

      আম্বিয়ায়ে কিরাম সম্পর্কে মওদূদীর বক্তব্য: “নবীগণ নিষ্পাপ নন বরং খবীছ নফ্স দ্বারা আক্রান্ত”

      সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩

      শরীয়তের কাঠগড়ায় মওদূদী জামায়াতের মতাদর্শ

      সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩

      মওদূদীবাদের আয়নায় কাদিয়ানী চেহারা

      অক্টোবর ৩, ২০২৩

      মওদূদীবাদের আয়নায় মু’তাজিলী হওয়ার চেহারা

      অক্টোবর ৩, ২০২৩

      কুরআন-হাদীসের বিশ্বস্ত মাধ্যম সাহাবায়ে কিরামের উপর থেকে ভক্তি নির্ভরতা বিলুপ্তির ভয়ানক ষড়যন্ত্র।

      অক্টোবর ৩, ২০২৩

      মওদূদীবাদের দর্পণে শী’আ মতবাদের ছবি: মওদূদীবাদের আয়নায় শীআদের প্রতিচ্ছবি।

      অক্টোবর ৩, ২০২৩

      নবুওয়াত ও রিসালত: মওদুদীবাদ

      মে ২৫, ২০২৪

      ইবাদত: মওদুদীবাদ

      মে ২৫, ২০২৪

      কুরআন মাজীদ ও দ্বীনের সংরক্ষণ: কুরআন সংরক্ষণের অর্থ: কুরআন সংরক্ষণে খোদায়ী ব্যবস্থাপনা: মওদুদীবাদ

      মে ২৪, ২০২৪

      দ্বীন কী? দ্বীনে নূহ: দ্বীনে ইব্রাহীম: দ্বীনে ইসমাঈল: দ্বীনে ইউসুফ: দ্বীনে মূসা: দ্বীনে ঈসা: মওদূদীবাদ

      মে ২৩, ২০২৪

      জমিয়তের সমাবেশের দিন উত্তরায় সম্মেলন ডাকলো জামায়াত

      জুলাই ১০, ২০২৫

      ইসলাম ও রাজনীতি: রাজনীতির সংজ্ঞা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও বিষয়বস্তু

      অক্টোবর ৮, ২০২৩

      শিয়া মতাদর্শ

      সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩

      কাদিয়ানী মতবাদ

      সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩

      পারভেযী মতবাদ বা ফিতনায়ে ইন্‌কারে হাদীস

      সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩

      মওদুদী ফিতনা

      সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩

      পারভেযী মতবাদ বা ফিতনায়ে ইন্‌কারে হাদীস

      সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩

      কাদিয়ানী মতবাদ

      সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩

      শিয়া মতাদর্শ

      সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩

      মওদুদীর ভ্রান্ত আকীদাসমূহ: আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের দৃষ্টিকোণ

      নভেম্বর ২, ২০২৫

      জামায়াতে ইসলামী, মওদূদীবাদ ও আকীদাগত স্বচ্ছতার অপরিহার্যতা

      অক্টোবর ৮, ২০২৫

      📚 শিক্ষার সঙ্গে বাণিজ্য-এক আকর্ষণীয় কিন্তু বিভ্রান্তিকর স্লোগান আলেমদের দায়িত্ব ও বাস্তবতা

      অক্টোবর ৬, ২০২৫

      “পূজায় শুভেচ্ছা: ইসলামের দৃষ্টিতে সীমারেখা ও সদাচরণ”

      সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫
    • জাতীয়
    • মুসলিম বিশ্ব
    • সারাদেশ
    • রাজনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • মতামত
    • ইসলাম
    • প্রতিবেদন
      • দাওয়াহ
      • প্রবাস
      • কল্যাণ ট্রাস্ট
      • বয়ান
    ইজহারে হক: হকের কথা বলে
    এক সাথে সব

    মওদূদীর শিক্ষা-দীক্ষা ও ব্যক্তিত্ব

    ইজহারে হকBy ইজহারে হকসেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩
    Share Facebook Twitter Pinterest Copy Link LinkedIn Tumblr Email VKontakte Telegram
    Share
    Facebook Twitter Pinterest Email Copy Link
    মওদূদীর শিক্ষা-দীক্ষা ও ব্যক্তিত্ব
    নাম-আবুল আলা পিতা-আহমদ হাসান মওদূদ । জন্ম-২৫শে সেপ্টেম্বর ১৯০৩। মৃত্যু-১৯৭৯ইং।
    জনাব মওদূদী সাহেব প্রাতিষ্ঠানিক লেখা-পড়ায় বেশি দূর এগোতে পারেননি। প্রাথমিক লেখা-পড়া নিজ গৃহে সমাপ্ত করার পর অল্প ক’দিন আওরংগাবাদের ফওকানীয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করেন। এরপর পিতার ইন্তিকালে তার লেখা-পড়ায় ইতি টেনে জীবিকার সন্ধানে বের হতে হয়। মওদূদী সাহেবের অন্ধভক্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব আব্বাস আলী খান সাহেব এর লেখা প্রসিদ্ধ গ্রন্থ “মাওলানা মওদূদী” এর ২০- ২১ পৃষ্ঠায় মওদুদী সাহেবের প্রাতিষ্ঠানিক লেখা-পড়া সম্পর্কে যা লেখা হয়েছে তা হল,
    “ন” বৎসর বয়স পর্যন্ত বাড়ীতেই বালক মওদূদীর বিদ্যাচর্চা চলতে থাকে। …..তারপর তাকে আওরংগাবাদের ফওকানীয়া মাদরাসায় রুশদিয়া মানের শেষ বর্ষ শ্রেণীতে (৮ম শ্রেণী) ভর্তি করে দেয়া হয়। ভর্তি হবার ছ’মাস পরেই তিনি
    রুশদিয়া পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হন।” – (মাওলানা মওদূদী : ২০-২১ পৃঃ) অকৃতকার্য (ফেল) হওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি গণিতে
    অনেক কাঁচা ছিলেন। প্রিয় পাঠক ! লক্ষ্য করুন, মওদূদীর অন্ধ ভক্ত জনাব আব্বাস আলী খান সাহেব মওদূদীর জীবনীতে বহু চেষ্টা করেও প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ে অকৃতকার্য (ফেল) হওয়া ছাড়া আর কোন উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রি তাকে দিতে পারেননি। অবশ্য পরে মওলবী (আলিম) ক্লাশে ভর্তি হওয়ার দাবী করা হয়েছে। এখানেও আবার ছ’মাস পরে লেখা-পড়া জীবনের চির সমাপ্তি ঘটে।
    শিক্ষাগত যোগ্যতা একেবারে কম থাকলেও আল্লাহ তা’আলা তাকে বিরল প্রতিভা এবং লিখনী শক্তি দান করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিভাকে তিনি জীবিকার অভাবে দুনিয়ার তুচ্ছ স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। তার লিখনী শক্তিকে কোরআন-হাদীসের অপব্যাখ্যা ও আম্বিয়া কেরাম, সাহাবায়ে কেরাম এবং ওলী- আউলিয়ায়ে কেরামের বিষোদগারে ব্যবহার করেছেন। জনাব মওদূদী সাহেব কর্ম জীবনের শুরুতে মদীনা, তাজ, মুসলিম, আল জমিয়ত প্রভৃতি ধর্মীয় উর্দু সাময়িকী ও সংবাদ পত্রে কাজ করেন। ১৯২৯ সালে তাকে আল-জমিয়ত পত্রিকার চাকরি ছেড়ে দিতে হয়।
    জনাব মওদূদী সাহেব শেষ জীবনে স্বঘোষিত ইসলামের কান্ডারী সেজে গেলেও, পূর্বে তার মধ্যে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের প্রাথমিক কাজ নবীর সুন্নাত দাড়িটুকুও ছিল না। যার প্রমাণ উর্দুভাষী বিশিষ্ট লেখক ও চিন্তাবিদ রইস আহমদ জাফরী তাঁর ‘দিদা ও শানীদ’ গ্রন্থে’ মওদূদী সাহেব সম্পর্কে লিখেছেন, ” ১৯৩৭ সালের এক হিমেল সন্ধ্যায় বোম্বাইয়ে খেলাফত হাউসের অতিথি শালায় একজন নবাগতকে দেখতে পেলাম।… দাড়ি-গোঁফ কামানো এবং ইংলিশ কাটিংয়ের চুল সুদর্শন ও ডাগর ডাগর চোখ ওয়ালা। কিছুটা একাকী ও চুপচাপ বসেছিলেন। পরিচয় জিজ্ঞেস করলে- বললেন, আমার নাম আবুল আ’লা মওদূদী।” (জামাতের আসল চেহারা : ৯ পৃঃ)
    মওদূদী সাহেবের শিক্ষা-দীক্ষা সম্পর্কে বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা ইউসুফ বিন্নোরী (রহঃ) লিখেন, “দুঃখজনক কথা হল, না তিনি (মওদূদী সাহেব) কোন দ্বীনি দরসগাহে ইলমী প্রাচুর্য লাভ করতে পেরেছেন এবং না আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে গ্রাজুয়েট হতে পেরেছেন। এভাবে না কোন পাকাপোক্ত আলেমে দ্বীনের সাহচর্য কপালে মিলেছে; বরং ভাগ্যদোষে নিয়াজ ফতেহপুরীর মত মুলহীদ ও নাস্তিক এবং যিন্দীক ও অবিশ্বাসীদের সংসর্গ নসীব হয়েছে। এদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। সে বন্ধুত্ব ও সংসর্গের জের ধরে তার মাঝে বেশ কিছু গলদ প্রবণতা ও ঝোঁক সৃষ্টি হয়েছিল।”
    (আকাবিরে উম্মত কি নযর মেঁ ঃ ৪৩ পৃঃ) দ্বীনি শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষা কোনটিতেই মওদূদীর বুৎপত্তি অর্জিত হয় নাই । একথা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। তিনি নিজের সম্পর্কে লেখেন :
    مجھے گروہ علماء میں شامل ہونے کا شرف حاصل نہیں ہے ۔ میں ایک بیچے کی راس کا آدمی ہوں جس نے کچهه کچهه جدید اور قدیم دونون طریقہ ہائے تعلیم سے . پایا ہے اور دونوں کوچوں کو چل پھر کر دیکھا ہے۔ حصہ
    অর্থ : “উলামা সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি। আমি মধ্য বিন্দুর লোক, যে নতুন পুরাতন উভয় শিক্ষাব্যবস্থার কিছু কিছু অংশ পেয়েছে এবং উভয় গলিতে হেঁটে চলেছে।” (মাসিক তরজুমানুল কোরআন ১৩৫৫ হিজরী রবিউল আউয়াল সংখ্যা) পাঠক বন্ধুগণ! মওদূদীর সুন্নাত পরিপন্থী জীবন যাপন, আব্বাস আলী খানের উদ্ধৃতি, আন্নামা বিন্নোরীর সাক্ষ্য এবং মওদূদীর নিজ স্বীকারোক্তি দ্বারা একথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ হয়েছে যে, মওদূদী সাহেব কোন আলেম ছিলেন না। কেননা, আমাদের জানা মতে আলেম হওয়ার জন্য কোন ইসলামী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দাওরায়ে হাদীস বা কামিল অথবা সমমানের ক্লাশে উত্তীর্ণ হতে হবে। আর মওদূদী সাহেব যেহেতু এগুলোর ধারে কাছেও যান নাই, এজন্য আমরা তার নামের সাথে ‘মাওলানা’ শব্দটি লেখার পক্ষে নই। এমনকি এটাকে আমরা অযৌক্তিক ও অন্যায় মনে করি। “উলামা সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি।” বেচারার এই স্পষ্ট স্বীকারোক্তির পরও যারা তার মৃত্যুর পর ভক্তির আতিশয্যে তার নামের সাথে ‘মাওলানা, আল্লামা’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করছেন, আমরা মনে করি তারা জনাবের বিদেহী আত্মার উপর জুলুম করছেন।
    একদিকে যেমন নিয়মিত কোন শিক্ষা গ্রহণ করে আলেম হওয়ার সুযোগ তিনি পাননি, অপর দিকে কোন হক্কানী বিজ্ঞ আলেম ওলামাদের দিক-নির্দেশনার অধীনে থেকে দ্বীনি কাজ করার প্রয়োজনীয়তাও তিনি অনুভব করেন নি; বরং তিনি নিজ মেধার উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল ও চরম মুক্ত স্বভাবের অধিকারী ছিলেন।
    উম্মতের রাহবার আইম্মায়ে মাযহাব থেকে শুরু করে আইম্মায়ে হাদীস, আয়িম্মায়ে তাফসীর, যামানার মুজাদ্দিদ ও দার্শনিকগণসহ অতীতের প্রায় সকল দক্ষ উলামায়ে কিরাম তার নিকটে ছিল অতি তুচ্ছ। যা তার বিভিন্ন লিখনীর মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
    শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জ্ঞান অর্জনকে অস্বীকার করে তিনি লেখেন,
    میں نے دین کو حال یا ماضی کے اشخاص سے سمجھنے کے بجائے ہمیشه قرآن اور سنت ہی سے سمجھنے کی کوشش کی ہے ۔ اسلئے میں کبهی یه معلوم کرنے کیلئے خدا کا دین مجهه سے اور بر مؤمن سے کیاچا بتابے یہ دیکھنے کوشش نہیں کرتا کہ فلاں اور فلاں بزرگ کیا کہتی بین بلکه صرف یہ دیکھنے کی کوشش کرتا ہوں کہ قرآن کیا کہتا ہے اور رسول صلی الله
    عليه وسلم نے کیا کیا ۔
    অর্থ ঃ “আমি দ্বীনকে বর্তমান ও অতীত যুগের ব্যক্তিবর্গ হতে বুঝার পরিবর্তে সর্বদা কোরআন-সুন্নাহ হতে সরাসরি বুঝার চেষ্টা করেছি। তা এ উদ্দেশ্যে যে, আমার ও প্রত্যেক মু’মিন থেকে আল্লাহর দ্বীন কি চাচ্ছে যেন তা বুঝে নিতে পারি। সেটা দেখে নিতে চেষ্টা করিনি যে, অমুক, অমুক, বুযুর্গ (ওলামাগণ) কি বলেছেন; বরং দেখে নিতে চেষ্টা করেছি, কোরআন কি বলেছে এবং রাসূল (সা.) কি বলেছেন।” (রূয়েদাদে জামায়াতে ইসলামী ঃ ৩/৩৭ পৃঃ)
    অথচ আমরা জানি কোন শাস্ত্রে পারদর্শী হতে হলে সে শাস্ত্রের কোন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়ে তার দিক-নির্দেশনা মোতাবেক অধ্যয়ন করতে হবে। বর্তমান বাস্তবতাও তাই বলে। কেননা, কোন স্বঘোষিত পন্ডিত যদি আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রের সমস্ত বই-পুস্তকও পড়ে নেয়, কিন্তু কোন বিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে ক্লাশ অথবা কোর্স-কোচিং না করে- তাহলে তাকে ডাক্তার বলা হয় না। ঘরে বসে আইনের সমস্ত বই পুস্তক পড়ে নিলেও আইনজীবী হওয়া যায়না। একা একা ইঞ্জিনিয়ারিং এর সমগ্র সাবজেক্ট পড়েই কেহ ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে না। বরং এ ধরনের হাতুড়ে ডাক্তার, আইনজীবী ও ইঞ্জিনিয়ারের কাজকে আইনত দন্ডনীয় ঘোষণা করে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়।
    ঠিক তদ্রূপ, মহাগ্রন্থ আল-কোরআনুল কারীম ও পবিত্র হাদীসের জ্ঞান অন্বেষণের জন্য ঘরে বসে শুধুমাত্র কিছু কিতাবাদী পড়লেই চলবে না, বরং নির্দিষ্ট বিষয়ে বিজ্ঞ ওলামাদের শরণাপন্ন হয়ে তাদের থেকে সরাসরি জ্ঞান হাসিল করতে হবে। আসমানী ইলম শিক্ষার সূচনা এভাবেই হয়েছে। মহানবী (সা.) সরাসরি জিব্রাঈল, (আঃ) থেকে উলূমে নুবুওয়াত শিক্ষা করেছেন এবং ঘোষণা করেছেন, Ladies an
    অর্থ ঃ “আমি তোমাদের নিকট শিক্ষকরূপে প্রেরিত হয়েছি।” অতঃপর তার থেকে সাহাবায়ে কেরাম, পর্যায়ক্রমে তাবেঈন, তাবে তাবেঈন, আইম্মায়ে মুজতাহিদীন ও বর্তমানে ওলামায়ে কেরাম পর্যন্ত অদ্যাবধি এই ধারা চালু রয়েছে। বুখারী শরীফের একটি হাদীস আমাদের এসব কথাকে সুস্পষ্টভাবে সমর্থন করে। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন,
    من يرد الله به خيرا يفقهه في الدين وإنما العلم
    بالتعليم –
    অর্থ : “আল্লাহ তা’য়ালা যার মঙ্গল চান তাকে দ্বীনের সহীহ জ্ঞান দান করেন। ইলম ও জ্ঞান উহাই নির্ভরযোগ্য যা শিখে নেয়ার মাধ্যমে অর্জিত হয়।” (বুখারী শরীফ ঃ ১/১৬ পৃঃ) বুখারী শরীফের বিশ্ব বিখ্যাত ব্যাখ্যা গ্রন্থ ‘ফতহুল বারী’-তে pabeilly plall Lail এই অংশের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে,
    AFA والمعنى ليس العلم المعتبر إلا الماخوذ من الانبياء
    وورثتهم على سبيل التعليم – فتح البارى ١٧٤١١
    অর্থ ঃ “ইলম ও জ্ঞান হিসেবে উহাই গণ্য হবে, যা নবীগণ থেকে এবং তাদের ওয়ারিশ (ওলামা)-গণ থেকে অধ্যয়নের মাধ্যমে চলে আসছে।” অর্থাৎ- পরম্পরা সূত্রে রাসূল (সা.) পর্যন্ত যা সংযুক্ত। (ফতহুল বারী : ১/১৪৭ পৃঃ)
    অথচ মওদূদী সাহেব একগুয়েমী করে শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষক গ্রহণ এবং পূর্বসুরীদের অনুকরণের পথকে সম্পূর্ণরূপে পরিহার করে ভ্রান্তির জালে আটকা পড়েছেন। তার লিখিত তাফসীর ‘তাফহীমুল কোরআন’ সম্পর্কে তিনি লেখেন, “আমি ‘তাফহীমুল কোরআনে’ কোরআনের শব্দাবলীকে উর্দূর লেবাস পরানোর পরিবর্তে এই চেষ্টাই করেছি যে, কোরআনের বাক্যসমূহ পড়ে যে অর্থ আমার বুঝে এসেছে এবং উক্ত আয়াত সম্পর্কে আমার মনে যে প্রভাব পড়েছে, যথাসাধ্য সঠিকভাবে উহাকে নিজ ভাষায় ব্যক্ত করে দিয়েছি।”
    (তাফহীমুল কোরআন : ১/১০ পৃঃ) মওদূদী সাহেব কোন আলেম নন। শুধু তাই নয়, “তিনি আরবী লিখতে ও পারেন না আরবী বলতেও পারেন না। এমনকি তিনি আরবী প্রবন্ধের ভাষান্তর ও মাওলানা আবুল হাসান আলী নদবীকে দিয়ে করিয়ে নেন।” (মওদূদী মতবাদের এক্স-রে রিপোর্ট ঃ ১৫ পৃঃ)
    এতদ্‌সত্ত্বেও তিনি বলেছেন, কোরআনের বাক্যসমূহ পড়ে আমার যা বুঝে এসেছে এবং উক্ত আয়াত সম্পর্কে আমার মনে যে প্রভাব পড়েছে তাহাই লিখেছি। কিন্তু বিজ্ঞ কোন আলেম তো দূরের কথা- রঈসুল মুফাস্সিরীন হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)ও এই দাবী করতে পারেননি। কারণ, এই দাবী করার মানে কোরআনের মনগড়া ব্যাখ্যাকে বৈধতা দেয়া। আর কোরআনের মনগড়া ব্যাখ্যা সম্পর্কে রাসূল (সা.) বলেছেন,
    لَ فِى القرانِ برأيه فليتبوأ مقعده من النَّارِ – منْ قَالَ مِنَ
    অর্থ ঃ “যে ব্যক্তি কোরআনের মনগড়া ব্যাখ্যা করবে, সে যেন নিজ ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নেয়।” (তিরমিযী ঃ ২/১২৩ পৃঃ)
    সুতরাং মওদূদী সাহেবের মত jhal ishithe cai লোক তার কর্মের দ্বারা জাহান্নামের পথকেই সুগম করেছেন। কিন্তু তিনি জাহান্নামে একা যেতে চাননি, কোরআনের অপব্যাখ্যাকারী একদল সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে জাহান্নামে যেতে চান। এজন্য তিনি তার সাঙ্গপাঙ্গ তৈরীর লক্ষ্যে লেখেন,
    قرآن کے لئے کسی تفسیر کی حاجت نہیں ایک اعلی درجه کا پرو فیسر کا فی ہے ۔ جس نے قرآن کا بنظر غائر مطالعہ کیا ہو جو طرز جدید پر قرآن پرانے اور سمجا نے کی اہلیت
    رکھتا ہو
    অর্থ ঃ “কোরআনের জন্য কোন তাফসীরের প্রয়োজন নেই। একজন উঁচু মানের প্রফেসরই যথেষ্ট। যে গভীর দৃষ্টিতে কোরআন অধ্যয়ন করেছে এবং নতুন পদ্ধতিতে কোরআন পড়ানোর ও বুঝানোর যোগ্যতা রাখে।”
    (তানকীহাত ঃ ২৯১ পৃঃ) কিন্তু মুফাস্সিরীনে কেরাম এ ব্যাপারে একমত যে, নিম্নের ১৫টি শাস্ত্রের জ্ঞান হাসিল করা ব্যতীত কেহ সঠিকভাবে কোরআন বুঝতেও পারবে না, তাফসীরও করতে পারবেনা। যদি তাফসীর করে তাহলে উহা তাফসীর বির রায় (মনগড়া তাফসীর) হিসেবে গণ্য হবে। সেই ১৫টি ইলম হল- (১) আভিধানিক অর্থ। (২) ইলমে নাহু (৩) ইলমে ছরফ (৪) ইলমে ইশতিকাক (৫) ইলমে মায়ানী (৬) ইলমে বয়ান (৭) ইলমে বদী’ (৮) ইলমে কেরাত (৯) ইলমে আকায়িদ (১০) উসূলে ফেকাহ (১১) শানে নুযূল ( ১২) নাসেখ ও মানসুখ (১৩) ইলমে ফেকাহ (১৪) ঐ সকল হাদীস জানা যেগুলি কোরআনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা সম্বলিত আয়াতের ব্যাখ্যা (১৫) ইলমে ওয়াহবী বা আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান।” (তাফসীরে বায়যাবী : ১/৩ পৃঃ)
    এই ১৫টি শাস্ত্রের জ্ঞান সম্পর্কে একজন প্রফেসর তো কোন ধারণাই রাখেন না, তবুও যদি তিনি তাফসীর করার সনদ পেয়ে যান, তাহলে এবার বলুন, সেই সনদদাতা কতবড় জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান।
    এই বুদ্ধিমানের তাফসীর করা দেখে আমার একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল। ছোট বেলায় আমার আব্বা এই ঘটনাটি শুনিয়ে ছিলেন।
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email Telegram Copy Link
    ইজহারে হক
    • Website

    এজাতীয় আরো

    ইসলাম

    জামায়াত কোনো ইসলামী দল নয়, বাতেল মতবাদের সঙ্গে ঐক্য সম্ভব নয়: পীর সাহেব মধুপুর

    নভেম্বর ৯, ২০২৫
    মওদুদী ফিতনা জানতে

    সাহাবী-বিদ্বেষী জামায়াত: তাদের ঈমানই প্রশ্নবিদ্ধ: হেফাজত আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী

    নভেম্বর ৭, ২০২৫
    মওদুদী ফিতনা জানতে

    আল্লাহর অঙ্গীকার অটুট, কুরআনের রূহ অম্লান — মওদুদী মতবাদের বিভ্রান্তি বিশ্লেষণ

    নভেম্বর ৩, ২০২৫
    প্রবন্ধ

    মওদুদীর ভ্রান্ত আকীদাসমূহ: আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের দৃষ্টিকোণ

    নভেম্বর ২, ২০২৫
    এক সাথে সব

    দোকানের কর্মচারী থেকে ভারতের শীর্ষ ধনীর শীর্ষে: এম এ ইউসুফ আলী ও গুজরাটের নতুন লুলু মল

    অক্টোবর ২৯, ২০২৫
    এক সাথে সব

    কানাইঘাটে সড়ক অবকাঠামো ধ্বংসের মুখে, সংস্কারের দাবিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া: হারুনুর রশিদ চতুলী

    অক্টোবর ১২, ২০২৫
    Add A Comment
    Leave A Reply Cancel Reply

    ইসলামি ঐক্য ভৌগোলিক সীমায় বাঁধা নয়”—মাওলানা ফজলুর রহমানের ভাষণ ঢাকায় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে

    নভেম্বর ১৩, ২০২৫

    মাওলানা ফজলুর রহমানের সফর: দুই দেশের ধর্মীয় সম্পর্ক জোরদারে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রত্যাশা

    নভেম্বর ১০, ২০২৫

    ধর্মবিরোধী গান? মাওলানা মাহমুদ মাদানীর সতর্কবার্তা

    নভেম্বর ৯, ২০২৫
    প্রিয়
    • ইসলামি ঐক্য ভৌগোলিক সীমায় বাঁধা নয়”—মাওলানা ফজলুর রহমানের ভাষণ ঢাকায় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে
    • মাওলানা ফজলুর রহমানের সফর: দুই দেশের ধর্মীয় সম্পর্ক জোরদারে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রত্যাশা
    • ধর্মবিরোধী গান? মাওলানা মাহমুদ মাদানীর সতর্কবার্তা
    • জামায়াত কোনো ইসলামী দল নয়, বাতেল মতবাদের সঙ্গে ঐক্য সম্ভব নয়: পীর সাহেব মধুপুর
    • সাহাবী-বিদ্বেষী জামায়াত: তাদের ঈমানই প্রশ্নবিদ্ধ: হেফাজত আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী
    Advertisement

    সম্পাদক: আবু তালহা রায়হান 

    যোগাযোগ
    রংমহল টাওয়ার, বন্দর বাজার, সিলেট, বাংলাদেশ
    নিউজরুম : ০১৩২৪-৭৪২৩০২
    Email : izharehaq24@gmail.com

    এইমাত্র পাওয়া

    ইসলামি ঐক্য ভৌগোলিক সীমায় বাঁধা নয়”—মাওলানা ফজলুর রহমানের ভাষণ ঢাকায় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে

    নভেম্বর ১৩, ২০২৫
    © ২০২৫ Izharehaq.com. Designed by MD Maruf Zakir.

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.