বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস হাতিয়া শাখার উদ্যোগে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক) ও জমইয়্যাতুল মাদারিসিল কওমিয়্যাহ (নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর বোর্ড)-এর কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় মুমতাজ (A+) প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য হলে যুক্ত করা যাবে) হাতিয়া উপজেলার একটি স্থানীয় মাদরাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও আলেম-উলামাদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত ছাত্র মজলিস হাতিয়া শাখার সভাপতি শাহাদাত হুসাইন এবং সঞ্চালনা করেন শাখা সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আলী।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আবদুল আজিজ।
তিনি বলেন,
> “কওমি শিক্ষার্থীরাই দেশের নৈতিক নেতৃত্বের ভরসাস্থল। ইসলামি শিক্ষা ও চরিত্র গঠনের মাধ্যমে তারা সমাজে আদর্শ প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব পালন করবে। আজ যারা কৃতি, তাদেরকে জ্ঞান, চরিত্র ও দায়িত্ববোধে আরও পরিপূর্ণ হতে হবে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ দিদারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় দপ্তর ও প্রকাশনা সম্পাদক মুশতাক আহমাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস হাতিয়া উপজেলা সভাপতি মাওলানা ইউনুস সাইফি, সহসভাপতি মুফতি শাহেদুল ইসলাম, সেক্রেটারি মাওলানা আজমীর হুসাইন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান, খেলাফত যুব মজলিস হাতিয়া উপজেলা সভাপতি মাওলানা কাউসার হামিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সুলতান মাহমুদ হেলাল এবং প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা ইলিয়াস হুসাইন।
বক্তারা বলেন,
> “কওমি মাদরাসার কৃতি শিক্ষার্থীরা ইসলামি সমাজ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাদের জ্ঞান ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে নৈতিকতা ও সত্যনিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত ছাত্র মজলিস হাতিয়া শাখার বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্বশীল, মাদরাসা শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ। কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে সংবর্ধনা স্মারক, সার্টিফিকেট ও বই তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা ইউনুস সাইফি।
অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা জানান, এমন সংবর্ধনা তাদের অনুপ্রেরণার উৎস এবং ভবিষ্যতে আরও মনোযোগী হয়ে ইসলামী শিক্ষা ও সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করবেন তারা।
