আগামী কাল ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা দ্যা ভ্যালেন্টাইনস ডে।সারা বিশ্বে একযোগে উদযাপিত হবে এ দিবসটি।
বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩৬৪ দিন মানুষকে ধোঁকায় ফেলে শয়তান যতোটা তৃপ্তি পায় তার চেয়েও বেশি তৃপ্তি পায় ১৪ই ফেব্রুয়ারির এই বেহায়াপনায়।তরুণ-তরুণী জাহেলি সভ্যতায় মত্ত হবে এরচে’ ভালো খবর শয়তানের জন্য আর কী হতে পারে!
বেহায়াপনায় উন্মাতাল বিশ্বকে জাহেলি রুপ দিয়ে মুসলমানদের দুই ঈদে দ্বন্দ্ব সৃষ্টিকরে আগামী কালকের এই দিনটিতে শয়তান আপন ঈদ উৎসব পালন করবে। অত্যাধুনিক ফ্যাশনের উপহারে ছেয়ে যাওয়া হাটবাজার আর রেস্তোরাঁগুলোর নতুন সাজ দিনের অন্যতম আয়োজন।
পার্কগুলোকে তৈরি করা হবে যুবক-যুবতীর চাহিদা মাফিক। সারা দিন চলবে কতো আলাপ-আলোচনা, হৈ চৈ আর উন্মাদনা।
প্রেমিক যুগলের চোখে মুখে থাকবে যৌন উত্তেজনা।সব মিলিয়ে তারা পূর্ণ করবে এতোদিনের নীরবে লুকিয়ে থাকা সমস্ত কল্পনা-জল্পনা।
যুবক-যুবতীর এসব বেহাল দশা দেখে শয়তানও নিজেকে লজ্জার চাদরে আবৃত করে রাখবে বাইরের উষ্ণতা থেকে।
সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ৯০% মুসলমানের দেশ, মসজিদের শহর ঢাকাসহ দেশের সব শহর বন্দরে, স্কুল-কলেজ ও পার্কের আঙিনায় যখন এসব অসভ্যতা ও হিংস্রতার দেখা পাই তখন নিজেকে মুসলিম বলে দাবী করার পরিচয়টা কোথাও যেন হারিয়ে ফেলি!বড্ড ঘৃণা হয় ছদ্মবেশী আমাদের মুসলিমদের,এদেশের যুবসমাজদের।
কারণ আন্তর্জাতিক শক্তি মুসলমানদের চরিত্রহীন করার জন্য, যুবসমাজকে বিপতগামী করার জন্য নানা ধরনের আয়োজন করে যাচ্ছে। বিভিন্ন চাকচিক্যের মাধ্যমে যুবকদের বিপতগামী করছে।
অন্যায়ের পথে তাদের অগ্রসর করছে। সিরাতে মুস্তাকিম থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। আর আমার দেশের তরুণ-তরুণীরা ভালোবেসে পশ্চিমা এসব অপসংস্কৃতিকে আপনা সংস্কৃতির রুপ দিচ্ছে।ভ্যালেন্টাইন ডে মুসলমানদের কোনো দিবস নয়।
ইতিহাস গবেষকদের লেখনী থেকে পাওয়া যায় এটা খৃস্টানদের তৈরি মনগড়া একটি উৎসব।কোনো মুসলিম যুবক-যুবতী এ দিবসটি পালন করতে পারে না। কারণ এ দিবসের সাথে কুসংস্কার জড়িত,দেবতার নাম জড়িত। এ দিবসের প্রচলন করে পৌত্তলিকরা, মুশরিকরা।
যে দিবসের সাথে ঈমান বিরোধী এতগুলো উপকরণ যুক্ত সে দিবস একজন মুসলিম কীভাবে পালন করতে পারে?
মুমিনকে স্মরণ করতে হবে এবং মেনে চলতে হবে মহান আল্লাহর সকল নির্দেশনা যা তিনি প্রদান করেছেন স্বীয় কালামে পাকে, “তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।” -সূরা বনী ইসরাঈল-৩২।