বাতিল কত প্রকার ও কি কি?
বাতিল কি, বাতিলের পরিচয় কি, বাতিলের রূপরেখা কি, কিভাবে তারা হকের উপর আক্রমণ করছে, কোন্ পথে তাদের আগমন এবং কোন্ পথে তাদের প্রস্থান প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে সম্যক ও সার্বিক উপলব্ধি থাকা হকপন্থী প্রতিটি ব্যক্তির জন্যে একান্তভাবে অপরিহার্য। অন্যথায় হকের উপর চলা কোনক্রমেই সম্ভব নয়। হক ও বাতিলের এ দ্বন্দ্বমুখর পৃথিবীতে উল্লিখিত বিষয়গুলো সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণেই আজ আমাদের অনেকের পক্ষে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গভাবে হকের উপর চলা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
অতএব, এ সত্যটির প্রতি অবহেলা প্রদর্শন করা আর আমাদের জন্য সমীচীন নয়। কারণ, অতীত অবহেলার খেসারতও আমাদের উপর কম আসেনি এবং বর্তমানেও এ অভিশাপ থেকে আমরা মুক্ত নই।
এহেন অবক্ষয় ও বাতিলী আগ্রাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে বাতিল কত প্রকার ও কি কি সে সম্পর্কে আমাদের অবহিত হওয়া দরকার।
কুরআন ঘোষিত, নবী নির্দেশিত, সাহাবী বাস্তবায়িত, সলফে সালিহীন তথা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অনুসৃত আকীদা পথ ও মতের পরিপন্থী প্রতিটি ব্যক্তি ও জামাআতই হল বাতিল। এরাই হল মূলত মুসলমানদের শত্রু।
সাধারণত বাতিল দুই প্রকার
মৌলিকভাবে বর্তমান বিশ্বে দুই ধরনের বাতিল আমাদের সামনে বিদ্যমান। এদের কেউ তো হক ও হক্কানিয়াতের উপর প্রত্যক্ষ আক্রমণ করছে, আর কেউ আক্রমণ করছে অত্যন্ত পরোক্ষভাবে। এদের মধ্যে পরস্পরে বাহ্যিক পার্থক্য পরিলক্ষিত হলেও উভয় দলের লক্ষ্য হল এক ও অভিন্ন। একটি দল বাহ্যত ও প্রকাশ্যেই ইসলামবিরুদ্ধ শক্তি হিসাবে চিহ্নিত, আর একটি দল হল তারা, যারা ইসলামের মুখোশ এঁটে ইসলামের বিরোধিতা করছে। বর্তমান বিশ্বে স্পষ্টত ইসলামবিরোধী শক্তিসমূহের মাধ্যমে মৌলিকভাবে তিনটি দর্শনই গোটা পৃথিবীকে ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।
১. ডারউইনের সার্ভাইবেল অব দি ফিটেস্ট বা শক্তিমানেরই টিকে থাকার
মতবাদ।
২. ফ্রয়েডের যৌনবাদ ।
৩. কালমার্কসের বৈজ্ঞানিক সাম্যবাদ । হকের মুখোশ এঁটে যারা নিজেদেরকে ইসলামপন্থী বলে পরিচয় দিচ্ছে এবং সরলমনা মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করছে মোটামুটিভাবে তারা পাঁচ
দলে বিভক্ত।
১. শরীআ মতাদর্শ।
২. কাদিয়ানী মতবাদ ।
৩. ইনকারে হাদীসের ফিতনা।
৪. বিদআতী সয়লাব।
৫. মওদুদী ফিতনা।