একটি মজার ঘটনা
“এক কৃষকের একটি গাভী ছিল। একদা গাভীটি ছুটে গিয়ে তরমুজ ক্ষেতে চলে গেল। সেখান থেকে একটি আস্ত তরমুজ গিলে ফেললে তরমুজটি গলার ভিতর গিয়ে আটকে যায়। এতে গাভীটি বেশ বিপাকে পড়ে যায়। তখন কৃষক বেচারা এই গাভীটি নিয়ে পশু চিকিৎসকের কাছে গেল। চিকিৎসক সবকিছু দেখে জিজ্ঞেস করল, আপনার গাভী ছুটেছিল ? সে বলে, হ্যাঁ। তরমুজ ক্ষেতে গিয়েছিল ? সে বলে, হ্যাঁ। তখন চিকিৎসক বললেন, তাহলে আনেন দেখি ‘শিল-পাটা’। অতঃপর ‘শিল-পাটা’ আনা হলো। চিকিৎসক গাভীটিকে শুয়াইয়া পাটার ওপর গলা রেখে শিল দিয়ে চাপা দিলে তরমুজটি ভেঙ্গে যায়। এতে গাভী সুস্থ হয়ে উঠে। এই ঘটনা দেখে মূর্খ কৃষক মনে মনে ভাবে, যাই হোক আজকে একটি চিকিৎসা শিখে ফেললাম। যত মানুষের গলগন্ড রোগ আছে, সবাইকে এভাবে চিকিৎসা দিয়ে ভাল করে ফেলব। মূর্খ কৃষক ঘোষণা করে দিল, যাদের গলগন্ড রোগ আছে আমার কাছে নিয়ে আসুন নিমিষেই সুস্থ হয়ে উঠবে। এদিকে এক ভদ্রলোকের মা অনেক দিন ধরে গলগন্ড রোগে ভুগছে, কিছুতেই শিফা মিলছে না। সে এই নতুন কবিরাজের বিজ্ঞপ্তি পেয়ে, অনেকটা খুশি হল। মনে মনে ভাবল, যাই হোক সে যেহেতু নতুন কবিরাজ হিসেবে এসেছে তার কাছে গিয়ে দেখি। বলা তো যায় না কার ভিতরে কি আছে ! মাকে নিয়ে নতুন- কবিরাজের কাছে আসলে, মূর্খ কবিরাজ জিজ্ঞেস করল, আপনার মা ছুটেছিল ? সে বলে, না। কবিরাজ বলে, বলুন ছুটেছিল। সে বলে, ছুটেছিল। কবিরাজ পুনঃ জিজ্ঞেস করে আপনার মা তরমুজ ক্ষেতে গিয়েছিল ? সে বলে, না। কবিরাজ বলে, বলুন গিয়েছিল। সে বলে, গিয়েছিল। তখন মূর্খ কবিরাজ বলে, তাহলে আনেন দেখি শিল-পাটা’। ‘শিল-পাটা’ আনা হলে, বৃদ্ধাকে শুয়াইয়া পাটার উপর তার গলা রেখে শিল দিয়ে গলগন্ডের উপর সজোরে চাপ দিলে, বৃদ্ধার জীবনাবসান ঘটে।”
সুপ্রিয় পাঠক ! মূর্খ কৃষক ডাক্তারি করার বিদ্যা অর্জন না করে পশু চিকিৎসকের চিকিৎসা দেখে যেমন ডাক্তারী করার শখ জাগল। তেমনি জনাব মওদূদী সাহেবও কোরআন-হাদীসের জ্ঞান অর্জন না করে, তাফসীর করার নির্ধারিত ১৫টি শাস্ত্রের ইলম হাসিল না করে, মুফাসিরদের তাফসীর করা দেখে নিজেও তাফসীর করার খায়েশ করলেন। পরিণামে মূর্খ হাতুরে ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে যেমনভাবে বৃদ্ধার জীবনাবসান ঘটল, তদ্রূপ ‘নীমে মোল্লা’ মওদূদী সাহেবের তাফসীর নামক কোরআনের অপব্যাখ্যা গ্রন্থ পড়েও অসংখ্য সরলপ্রাণ মুসলমানের ঈমানের অবসান ঘটছে।
মওদূদীর কর্মনীতি
মওদূদী সাহেব লিখনীর ময়দানে ছিলেন এক বিরল ব্যক্তিত্বের অধিকারী। অনেকেই তার সাহিত্য ও সাংবাদিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ইসলামের উপর লেখা তার ক্ষুরধার লিখনী জেনারেল শিক্ষিতদের মাঝে বিরাট প্রভাব ফেলেছে। এমনকি ইসলামী আন্দোলন নিয়ে তার মর্মস্পর্শী ও যাদু মাখা লিখায় তৎকালীন অনেক শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামও প্রভাবিত হয়েছেন। সেই সুযোগে মওদূদী সাহেব তার মনগড়া গবেষণার ফসলগুলোকে উম্মতের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার মানসে, ‘জামায়াতে ইসলামী’ নামক একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার মনস্থ করেন। কিন্তু প্রথমে তার চিন্তাধারা কাউকে বুঝতে দেন নাই। তিনি লাগাতার ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের উপর বিপ্লবী ও হৃদয়গ্রাহী ভাষায় লিখতে থাকেন। দল গঠনের প্রাথমিক পর্যায়ে এক প্রবন্ধে তিনি লিখেন- “ইসলামের দৃষ্টিতে তারাই কেবলমাত্র মুসলিম সম্প্রদায় যারা ‘গায়রে ইলাহী বা আল্লাহ বিরোধী সরকার মিটিয়ে দিয়ে ইলাহী সরকার প্রতিষ্ঠা এবং মানুষের গড়া আইন-কানুনের পরিবর্তে খোদায়ী আইন-কানুন দ্বারা দেশ শাসনের জন্য সংগ্রাম করে। যে দল বা জামায়াত এরূপ করেনা, বরং ‘গায়রে ইলাহী’ শাসনব্যবস্থায় মুসলমান নামক একটি সম্প্রদায়ের পার্থিব কল্যাণ সাধনে সংগ্রাম করে তারা ইসলামপন্থী নয় এবং তাদের মুসলিম সম্প্রদায় বলাও বৈধ নয়।”
(সিয়াসী কাশমকাশ : ৩/৯৪ পৃঃ)
১৯৩৯ সালে তরজুমানুল কোরআনের মার্চ সংখ্যার সম্পাদকীয়তে জনাব মওদূদী লেখেন, ….. এসব আকাঙ্খা অন্তরে পোষণ করছি এবং এগুলো হাসিল করার জন্য গত ছ’ বছর থেকে শরীরের পুরো শক্তি ব্যয় করছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় আমি একা। আমার শক্তি সীমিত, সম্পদহীন। যা করতে চাই, পারছিনা। সঙ্গী খুঁজে ফিরছি, খুবই নগণ্য সংখ্যক পাওয়া যাচ্ছে। কোটি কোটি মুসলমানের ভিতর আমি নিজেকে অপরিচিত ও গরীব বোধ করছি। আমি যে উন্মাদনায় পতিত হয়েছি তার প্রতি আসক্ত কোথাও পাওয়া যাচ্ছেনা। বছরের পর বছর ধরে যাদের নিকট নিজের চিন্তাধারা পৌঁছাচ্ছি, যখনই তাদের নিকটস্থ হই, দেখতে পাই তারা আমার থেকে অনেক দূরে। তাদের সুর আমার সুর থেকে স্বতন্ত্র। আমার হৃদয় তাদের হৃদয়ের অপরিচিত। তাদের কর্ণ আমার ভাষা বুঝেনা।” (তরজুমানুল কোরআন ১৯৩৯ সালের মার্চ সংখ্যা)
‘জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠার পর তার প্রথম ভাষণে জনাব মওদূদী বলেন, “আমরা খাঁটি এবং আসল ইসলাম নিয়ে যাত্রা করছি। পুরোপুরি ইসলামই আমাদের আন্দোলন। প্রথমে রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রতিষ্ঠিত যে জামায়াত ছিলো আমরাও হুবহু সেই জীবন পদ্ধতিই গ্রহণ করেছি।
(রূয়েদাদে জামায়াতে ইসলামী : ১ম) জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও উদ্দেশ্য বর্ণনা প্রসঙ্গে মওদূদী সাহেব বলেছিলেন, “আমাদের নিকট খোদ ইসলামই আন্দোলন এবং সমগ্র বিশ্ব মানবের জন্যই ইসলামের আহবান। সুতরাং কোন বিশেষ জাতি বা দেশের সাময়িক সমস্যাবলীর প্রতি আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ নয়। বরং তা সমগ্র মানবতা ও বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারিত।” (মওদূদী কি তাহরীকে ইসলামী ১৬৯-১৭০)
মাকাল ফলরূপী মওদূদী সাহেবের এসব হৃদয়গ্রাহী আহবান, অত্যন্ত আকর্ষণীয়, চটকদার ও বিপ্লবী কথামালা, তৎকালীন অনেক শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের অন্তরে রেখাপাত করে। যার ফলে, মাওলানা সায়্যিদ সুলাইমান নদভী (রহঃ), মাওলানা মানাযির আহসান গিলানী (রহঃ), মাওলানা আব্দুল মাজেদ দরিয়াবাদী (রহঃ), মাওলানা সায়্যিদ আবুল হাসান আলী নদভী (রহঃ), মাওলানা মনযুর নোমানী (রহঃ), মাওলানা মাসউদ আলম নদভী (রহঃ), মাওলানা আমীন আহসান ইসলাহী (রহঃ) প্রমুখ বিশ্ব বরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে ‘জামায়াতে ইসলামী’তে যোগদান করেন।
কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই মওদূদী সাহেবের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। তিনি তার মনগড়া গবেষণার ফসলগুলো উম্মতের মাঝে ছড়াতে শুরু করেন। এজন্য তিনি মি. গোলাম পারভেজ ও মীর্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর মত স্পষ্ট কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী অলীক দাবী করতে শুরু করেন। কখনো তিনি শীয়াদের সাথে সুর মিলিয়ে কোরআন বিকৃত হয়ে যাওয়ার দাবী করেন। কখনো মু’তাযিলীদের সাথে সুর মিলিয়ে আমলহীন মুসলমানগণকে বেঈমান ও কাফের আখ্যা দেন। কখনো খারেজীদের সাথে সুর মিলিয়ে সাহাবায়ে কেরাম (রা.)-কে অশ্লীল ও অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেন। কখনো কাদিয়ানীদের সাথে সুর মিলিয়ে দাজ্জালের আগমনকে একটি কাল্পনিক প্রলাপ আখ্যা দেন। কখনো খ্রিষ্টানদের সাথে সুর মিলিয়ে সরাসরি কোরআনের আয়াতকে অস্বীকার করে ঈসা (আঃ)-কে আসমানে উঠিয়ে নেয়া ইনকার করেন। কখনো ইসলামের চরম দুশমন মুনকিরীনে হাদীস (হাদীস অস্বীকারকারী)-দের সাথে সুর মিলিয়ে হাদীসের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস ও ইয়াকিন রাখাকে অস্বীকার করেন। কখনো লা- মাযহাবীদের সাথে সুর মিলিয়ে মাযহাব মানাকে অবৈধ ও পাপকর্ম বরং পাপাচার থেকেও জঘন্য বিষয় আখ্যা দেন। কখনো নাস্তিকদের সাথে সুর মিলিয়ে মহানবীর সুন্নাতকে স্পষ্ট বিদআত ঘোষণা দেন। কখনো মুনাফিক ও ধর্মদ্রোহীদের সাথে সুর মিলিয়ে ‘হিকমতে আমলীর’ নামে সকল হালালকে হারাম এবং সকল হারামকে হালাল করার নতুন শরীয়ত তৈরী করেন। এছাড়াও তিনি মাহদী শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নিজেকে ইমাম মাহদী দাবী করেন। এগুলোর দ্বারা তার মূলত উদ্দেশ্য ছিল, বাদশাহ আকবরের দ্বীনে ইলাহীর মত সকল ধর্মমতের সমন্বয়ে একটি নতুন ধর্ম প্রতিষ্ঠা করা। যেই ধর্মের প্রবক্তা হবেন মওদূদী নিজে। আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলীপুরী (দা.বা.) বলেন, এই উদ্দেশ্যেই মওদূদী তার দলের নাম রেখেছে Gotal Cicles যার অর্থ ঃ “আমার ইসলামের দল।” কারণ, তিনি মহানবীর আনিত ইসলামে সন্তুষ্ট ছিলেন না। (দ্র. উল্লেখিত প্রত্যেকটি বিষয়ের বিস্তারিত বিশ্লেষণ শক্তিশালী রেফারেন্সসহ সামনে আলোচনা করা হবে ইন্শাআল্লাহ।)
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ ! আপনারাই বিচার করুন, যেই লোকটি- শীয়া, মু’তাযিলী, খারেজী, কাদিয়ানী, খ্রিষ্টান, মুনকিরীনে-হাদীস, লা-মাযহাবী, নাস্তিক, মুনাফিক ও ধর্মদ্রোহীদের আক্বিদা-বিশ্বাসকে নিজের ও তার প্রতিষ্ঠিত জামায়াতের আকিদা-বিশ্বাস হিসেবে গ্রহণ করেছেন, তিনি কি মুসলমান ? তার প্রতিষ্ঠিত জামায়াত কি ইসলামী দল ?
অথচ রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ২০১১ ৩৪২ ৩৪৩ ৩ অর্থ : “যে ব্যক্তি কোন জাতির আদর্শকে বিশ্বাস করে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।”
অস্বীকার করার কোন জোঁ নেই যে, বর্তমান জামায়াত-শিবিরের ইসলাম প্রিয় (?) ভাইয়েরাও তাদের প্রতিষ্ঠাতা নেতা মওদূদীর আকিদায় বিশ্বাসী। কিন্তু তারা জনরোষের ভয়ে প্রকাশ্যে ইহা স্বীকার করেনা। হাফেজ্জী হুজুর (রহঃ) ও শামছুল হক ফরিদপুরী (রহঃ) সহ অন্যান্য ওলামায়ে কেরামগণ, জামাতিদেরকে মওদূদীর ভ্রান্ত আক্বিদা-বিশ্বাস পরিহার করার আহবান জানালে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরে উহা এড়িয়ে যায়। তবে কিছু কিছু জামাতি আছে যারা বাস্তব জীবনে মওদূদীর সমস্ত চিন্তাধারা ফলো করলেও, শুধু মুখে মুখে লোক দেখানো অস্বীকার করে। যাই হোক, জনাব মওদূদী সাহেব যখন অতি সুক্ষ্মভাবে তার ভ্রান্ত চিন্তাধারার বিষ ক্রিয়াকে লিখনীর রূপ দিয়ে উম্মতের মাঝে ছড়াতে শুরু করেন, তখন জামায়াতে ইসলামীতে অংশগ্রহণকারী সমস্ত বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম বিষয়টিকে শরয়ী মৌলনীতির আলোকে যাচাই করে, সংগঠিত ভুল-ভ্রান্তি গুলোকে পরিহার করার আহবান জানান। কিন্তু মওদূদী সাহেব নেতৃবর্গের আহবানে সাড়া না দিয়ে আরো বিভ্রান্তি সংযোজন করে তা জামায়াতের মধ্যে পুরোপুরি প্রতিষ্ঠার দিকে মনোনিবেশ করেন। মওদূদী সাহেবকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে, জামায়াতের বড় বড় পদে অধিষ্ঠিত হয়ে প্রতিষ্ঠা কালিন সময় থেকে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে জামায়াতকে বিদায়ী সালাম জানালেন।
উদাহরণত ঃ জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা নায়েবে আমীর মাওলানা মনযুর নোমানী, সেক্রেটারী জেনারেল জনাব কমরুদ্দীন (এম.এ) বেনারসী, মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য হাকীম আঃ রহীম আশরাফ ও মাওলানা আমীন আহসান ইসলাহী, বিশ্ব বরেণ্য দাঈয়ে ইসলাম মাওলানা সায়্যিদ আবুল হাসান আলী নদভী, জামায়াতের অন্যতম রুকন ও মওদূদী সাহেবের জন্যে নিবেদিত প্রাণ ডক্টর এসরার আহমদ সাহেব, মওদূদীর একান্ত বিশ্বাস ভাজন ও জামায়াতের অন্যতম রুকন জনাব কাওসার নিয়াজী সাহেব প্রমুখসহ প্রথম সারির প্রায় আরো সত্তরজন নেতৃবর্গ। (মওদূদী মতবাদ ঃ ৫ পৃঃ)
এজন্য বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সেনানায়ক আল্লামা সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী (রহঃ) বলেন, “এ জামায়াত ভ্রান্ত জামায়াত, এদের আক্বিদা- বিশ্বাস আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত ও কোরআন-হাদীস পরিপন্থী”। (আকাবিরে উম্মত কি নযর মে ঃ ৯ পৃঃ)
মাওলানা খায়ের মুহাম্মদ জলন্ধরী (রহঃ) বলেন, “জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা
মওদূদী সাহেব একজন ধর্মদ্রোহী।” (জামায়াতে ইসলামী কা শীশ মহল ঃ ২২ পৃঃ) তাছাড়া জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা নায়েবে আমীর মাওলানা মনযুর নোমানী
(রহঃ) বলেন, “নিঃসন্দেহে জামায়াতে ইসলামী একটা মহা ফেতনা।”
(জামায়াতে ইসলামী ছে মজলিসে মুশাওরাতক : ৬১) মাওলানা সায়্যিদ আবুল হাসান আলী নদভী যিনি জামায়াতের প্রতিষ্ঠা কালীন মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য। তিনি বলেন, “জামাতিরা এক নতুন ধর্ম প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে।”
(আসরে হাযের মেঁ দ্বীন কি তাফহীয় ও তাশরীহ ঃ ১৬ পৃঃ)
মওদূদী সাহেবের একান্ত বিশ্বাসভাজন, জামায়াতের অন্যতম রুকন জনাব কাউসার নিয়াজী সাহেব তার ইস্তেফা পত্রে লিখেছেন, “জামায়াত সিরাতে মুস্তাকিম হতে বিচ্যুত একটি দল।”
(জামায়াতে ইসলামী কা শীশ মহল : ৪৪ পৃঃ) জামায়াতের এই সমস্ত শীর্ষ নেতৃবৃন্দের দল ত্যাগ এবং মন্তব্যে- মওদূদী সাহেবের কলম আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। তিনি আল্লাহ, রাসূল, কোরআন, হাদীস, সাহাবা, ওলী-আউলিয়া ও ইসলামের বিভিন্ন আকিদা বিশ্বাসের মূলে কুঠারাঘাত করতে শুরু করেন। দুনিয়া লোভী, স্বার্থপর ও মওদূদীর মত কিছু নীমে মোল্লাদের প্রচেষ্টায়, সরলপ্রাণ ও ইসলাম প্রিয় কিছুসংখ্যক সাধারণ মুসলমান তাদের ষড়যন্ত্রের জালে আটকে যায়। তাদেরকে নিয়েই পরবর্তীতে জামায়াতের কার্যক্রম চলতে থাকে।