1. info@izharehaq.com : MZakir :
রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মুখোশ উন্মোচন (মওদূদী মতবাদ) আহলে সুন্নতের ফিক্বাহ শাস্ত্রের ইমাম: ইসলামী আমলের ক্ষেত্রে বিদয়াতীদের চক্রান্ত আহলে সুন্নতের আক্বীদামতে মহানবীর মর্যাদা: অতি ভক্তি কিসের লক্ষণ রেজভীদের চক্রান্ত হুবহু ইবনে সাবার চক্রান্তের মত: রাসূলকে আলিমুল গাইব বলা সাবায়ী চক্রান্ত: আহলে সুন্নত ওয়াল জমা’ত সুবিন্যস্ত হওয়ার ইতিহাস কুরআন ও হাদীসের ভাষায় ছিরাতে মুস্তাক্বীম বা সোজা পথ: নবুওয়াত ও রিসালত: মওদুদীবাদ ইবাদত: মওদুদীবাদ কুরআন মাজীদ ও দ্বীনের সংরক্ষণ: কুরআন সংরক্ষণের অর্থ: কুরআন সংরক্ষণে খোদায়ী ব্যবস্থাপনা: মওদুদীবাদ দ্বীন কী? দ্বীনে নূহ: দ্বীনে ইব্রাহীম: দ্বীনে ইসমাঈল: দ্বীনে ইউসুফ: দ্বীনে মূসা: দ্বীনে ঈসা: মওদূদীবাদ মওদুদী সাহেবের শিক্ষা-দীক্ষার পরিধি গোয়েবলসীয় নীতি : হিটলারের ঐ মুখপাত্রও ”জামাত-শিবিরের মিথ্যাচারের কাছে হার মানায়”: পর্ব ১ ইক্বামাতে দ্বীনের তাৎপর্য এবং বাতিলপন্থীদের বিকৃত ব্যাখ্যা সাহাবাগণ রাঃ সত্যের মাপকাঠি এবং তাদের ইজমা সর্বসিদ্ধান্ত মতে শরীয়তের দলীল সাহাবা রাঃ গণ সত্যের মাপকাঠি খোলাফায়ে রাশেদীনগণের সোনালী আদর্শ সর্বসম্মতিক্রমে শরিয়তের দলীল শায়খ আলিমুদ্দীন দুর্লভপুরী”র ঐতিহাসিক ও তাত্বিক বক্তব্য: “তাঁরাই সত্যের মাপকাঠি” শায়খ আলিমুদ্দীন দুর্লভপুরী”র ঐতিহাসিক ও তাত্বিক বক্তব্য: সাহাবায়ে কেরাম “সত্যের মাপকাঠি: মিয়ারে হক: সত্যের মাপকাঠি: কুরআন-হাদীস এবং মওদূদী সাহিত্যের আলোকে: পর্ব-৬ মিয়ারে হক: সত্যের মাপকাঠি: কুরআন-হাদীস এবং মওদূদী সাহিত্যের আলোকে: পর্ব-৫

দ্বীন সম্পর্কে মওদূদী সাহেবের কয়েকটি বক্তব্য

নাম:
  • আপডেট সময় : শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৫৬০ বার পড়া হয়েছে

(৩) দ্বীন সম্পর্কে মওদূদী সাহেবের কয়েকটিবক্তব্য নিম্নরূপ-

اس تشریح سے یہ بات صاف ہو جاتا ہے که دین دراصل – حکومت کا نام ہے ۔ شریعت اس حکومت کا قانون ہے ۔

(দ্বীনের অর্থ বর্ণনা করতে গিয়ে একটি নাতিদীর্ঘ ভূমিকার পর তিনি বলেন) উক্ত ব্যাখ্যার আলোকে এ কথা পরিষ্কার হয়ে গেল যে, দ্বীন মূলতঃ রাষ্ট্রের নাম, শরীয়ত হল সে রাষ্ট্রের বিধান। খুতবাত ৩২০ পৃঃ আরেকটি বক্তব্যঃ

سب سے بڑی غلطی یہی ہے کہ آپ نے نماز روزوں – کے ارکان اور ان کی ظاہری صورت ہی کو اصل عبادت سمجهـ رکھا ہے اور آپ اس خیال خام میں مبتلا ہو گئے ہیں کہ جس نے یه ارکان پوری طرح ادا کر دیئے اس نے بس اللہ کی عبادت کر دی

অর্থঃ সর্বাপেক্ষা বড় ভুল এই যে, আপনি নামায রোযার আরকান ও বাহ্যিক আকৃতিকেই আসল ইবাদত মনে করছেন। এবং আপনি এই খাম খেয়ালীপনায় লিপ্ত যে-যে ব্যক্তি এই আরকান সমূহকে পূর্ণরূপে আদায় করল সে আল্লাহর ইবাদত করে নিল। খুত্পাত ১৯২পৃঃ

গ- অপর একটি বক্তব্যঃ

اسلام کا مقصد حقیقی مختصر الفاظ میں توصرف اتنا کهه دیناہی کافی ہے کہ وہ مقصد انسان پر سے انسان کی حکومت کومٹا کر خدائے واحد کی حکومت قائم کرتا ہے ۔ اور اس مقصد کیلئے سردھڑی کی بازی لگا دینے اور جان توڑ کوشش کرنے کا نام جہاد ہے اور نماز، روزه، حج ، زكوة سب اسی کام کی تیاری کی لیئے ہیں عبادات ايك تربیتی کورس ہیں ، نماز روزه اور به زکوۃ اور حج دراصل اسی تیاری اور تربیت کیلئے

ہیں ۔

অর্থঃ ইসলামের মূল উদ্দেশ্য সংক্ষিপ্ত কথায় মানুষের উপর মানুষের শাসন মিটিয়ে এক খোদার শাসন কায়েম করা। এর জন্যে মস্তক-মেরুদণ্ডের বাজি লাগিয়ে আপ্রাণ চেষ্টার নাম জিহাদ । নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত এসব সে উদ্দেশ্যেরই প্রস্তুতির জন্যে …… ইবাদাত একটি ট্রেনিং কোর্স। নামায, রোযা, যাকাত ও হজ্ব মূলতঃ তারই প্রস্তুতি ও ট্রেনিংয়ের জন্যে। খুতবাত ৩০৭ ও ৩১৫ পৃঃ

ঘ – আরেকটি বক্তব্য :

ایک عمارت کا ہے جیسے حکومت کے بغیر دین بالکل ایسا میں ہو مگر عمارت زمین پر موجود نہ ہو نقشه آپ کے دماغ میں ایسے دماغی نقشے کے ہونے کا فائدہ کیا بی

অর্থঃ রাষ্ট্র ছাড়া দ্বীন অবিকল একটি বিল্ডিংয়ের কাল্পনিক চিত্র, ভূ-পৃষ্ঠে যার অস্তিত্ব নাই। এমন কাল্পনিক চিত্রের ফায়দাটাই বা কি ? – খুতবাত ৩২২ পৃঃ

ঙ – আরো একটি বক্তব্য :

لیکن حقیقت یہ ہے کہ اسلام کسی مذہب کا اور مسلمان کسی قوم کا نام نہیں ہے ۔ بلکہ دراصل ایک انقلابی نظریه ومسلک ہے ۔

অর্থঃ বাস্তব কথা হল ইসলাম কোন ধর্মের নাম নয়। এবং মুসলমান কোন জাতির নাম নয়। বরং মূলতঃ ইসলাম একটি বিপ্লবী চিন্তাধারা ও পদ্ধতি এবং মুসলমান সেই আন্তর্জাতিক বিপ্লবী বাহিনীর নাম ।

তাফহীমাত ১ম খণ্ড ৭৭ পৃঃ

সার সংক্ষেপঃ মওদূদী সাহেবের মতে (ক) দ্বীন মূলতঃ রাষ্ট্রের নাম। (খ) রাষ্ট্র ছাড়া দ্বীন অস্তিত্বহীন কাল্পনিক চিত্রের ন্যয় নিরর্থক।
(গ) ইসলাম একটি বিপ্লবী চিন্তাধারার নাম।

(ঘ) ইসলামী রাষ্ট্র ছাড়া নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাতকে ইবাদত মনে করা মারাত্মক ভুল। বরং নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি জিহাদ ও রাষ্ট্র কায়িমের জন্যে ট্রেনিং কোর্স মাত্র।

পর্যালোচনা ঃ

মওদূদী সাহেব দ্বীনের যে ব্যাখ্যা করেছেন তা মূলতঃ দ্বীনের রাজনৈতিক ব্যাখ্যা। শরয়ী ব্যাখ্যা আদৌ নয়। কারণ আল্লাহ পাক স্বীয় কালামে পাকে ইরশাদ করেন-

إن الدين عند الله الاسلام

অর্থঃ ইসলাম আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন।

সূরায়ে আলে ইমরান আয়াত-১৯। (অনুবাদ তাফহীমুল কুরআন বাংলা)

উক্ত আয়াতে স্পষ্টভাবে বুঝা গেল আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন হচ্ছে ইসলাম । এবার দেখুন ইসলাম কি জিনিস। এ ব্যাপারে আল্লাহর রাসূল কি বলেছেন, বুখারী মুসলিম শরীফে সর্বসম্মত সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে একদা হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ) সাহাবাদের মাঝে উপবিষ্ট ছিলেন, এমন সময় হযরত জিবরাঈল (আঃ) এক অপরিচিত লোকের আকৃতি ধারণ করে রাসূল (সাঃ) এর নিকট এসে রাসূলের হাঁটুর সাথে হাঁটু মিলিয়ে বসে কয়েকটি প্রশ্ন করেন। প্রথম প্রশ্নটি ছিল এরূপঃ হে মুহাম্মদ (সাঃ)! আমাকে ইসলামের ব্যাখ্যা বলুন, তদুত্তরে রাসূল বললেন : ইসলাম হল – তুমি এ মর্মে সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নাই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল । এবং তুমি নামায় কায়িম করবে, যাকাত আদায় করবে। রমযানে রোযা রাখবে ও বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌছার সামর্থ হলে হজ্ব আদায় করবে। এ উত্তর শুনে জিবরাঈল (আঃ) বললেন আপনি সঠিক বলেছেন। বুখারী মুসলিম সূত্রে মিশকাত শরীফ কিতাবুল ঈমানের প্রথম হাদীস। হাদীসটি হাদীসে জিবরাঈল নামে প্রসিদ্ধ।

মোটকথা আল্লাহপাক বললেন যে, তার নিকট একমাত্র দ্বীন হচ্ছে ইসলাম আর রাসূল বললেন, আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ ও মুহাম্মাদকে তাঁর রাসূল বলে সাক্ষ্য দেওয়া, নামায পড়া, যাকাত দেওয়া, রোযা রাখা ও হজ্ব করা হচ্ছে ইসলাম, জিবরাঈল তা সত্যায়ন করলেন, তাহলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং ওহীর বাহক জিব্রাঈলের মতে দ্বীন হচ্ছে- ঈমান, নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত। এ কারণে মুসলিম উম্মাহর আক্বীদাও তাই । অথচ মওদূদী সাহেব বললেন এগুলো দ্বীন নয়। দ্বীন হচ্ছে রাষ্ট্র ও জিহাদ আর রাষ্ট্র অর্জনের ট্রেনিং হল নামায রোযা, হজ্ব, যাকাত। রাষ্ট্র ছাড়া এসব ইবাদাতও নিরর্থক ও অস্তিত্ববিহীন কাল্পনিক নকশা ।

আল্লাহর ও তাঁর রাসূল এবং জিবরাঈলের বর্ণনার বিপরীতে দ্বীনের এহেন ব্যাখ্যাকে যদি অপব্যাখ্যা না বলা যায় তাহলে অপব্যাখ্যা আর কোন বস্তুকে বলবে ?

বস্তুতঃ কুরআনের বহু আয়াত এবং রাসূলে আকরাম (সাঃ)-এর বহু হাদীসের দ্বারা একথা একদম পরিষ্কার যে দ্বীনের মূল বিষয় ঈমান, নামায, রোযা, হজ্ব ও যাকাত, বান্দার পক্ষ থেকে আল্লাহ তা’আলার মূল চাওয়া এগুলোই। আরো কিছু ইবাদাত আছে তবে সেগুলো প্রাসঙ্গিক বা সম্পূরক। তাছাড়া বান্দাদের পরস্পরে চলতে গেলে পারিবারিক বিষয়, সামাজিকতা-জাতীয়তা ও লেন-দেনের প্রসঙ্গ আসে। সেগুলোও যেন খোদার মর্জীতে হয়ে বান্দা আরামে জীবন-যাপন করতে পারে এজন্যে মুআমালাত, মুআশারাত, আখলাক ও সিয়াসাত বা হুকুমত তথা শাসন বিষয়ক বিধি-বিধান দেওয়া হয়েছে। আর মূল ইবাদত সহ অন্যান্য বিধি বিধান সূচারু রূপে আঞ্জাম দেওয়ার দ্বারা বান্দা হবে ভূ-পৃষ্ঠে আল্লাহর খলীফা তথা প্রতিনিধি। এ প্রতিনিধিত্ব যে মানবে না বা এতে যে বাধা দিবে তার বিরুদ্ধে মুসলমান জিহাদ করবে। এক কথায় ঈমান ও মৌলিক ইবাদাত তথা নামায রোযা, যাকাত, হজ্ব, এগুলোই দ্বীনের মূল ও কান্ড । আর জিহাদ সিয়াসত সহ অন্য সব বিধি-বিধান হল নিজ নিজ পজিশনভেদে শাখা-প্রশাখা, এ-কারণেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিষ্কার ভাবে ঘোষণা করে গেছেন।

بنى الاسلام على خمس الخ

অর্থঃ ইসলাম তথা দ্বীনের ভিত্তি পাঁচটি জিনিসের উপরঃ একমাত্র আল্লাহকে ইলাহ ও মুহাম্মাদ (সাঃ) কে তাঁর রাসূল বলে সাক্ষ্য দেওয়া নামায কায়িম করা, যাকাত দেওয়া, হজ্ব করা; ও রামাযানের রোযা রাখা। বুখারী ও মুসলিম সূত্র মিশকাত পৃঃ ১২

কিন্তু মওদূদী সাহেব রাসূলের এ ঘোষণার বিপরীতে হুকুমাত তথা রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও জিহাদকে মূল দ্বীন আর নামায, রোযা, যাকাত, হজ্ব কে তার ট্রেনিং বলার মাধ্যমে শাখা-প্রশাখাকে মূল ও কাণ্ড, আর মূল ও কাণ্ডকে শাখা-প্রশাখা বানিয়ে দিলেন, যাতে রয়েছে আক্বীদার খারাবীসহ আরো বহুবিধ খারাবী, যা বিবেকবান মাত্রই বুঝতে পারছেন।

৪। জনাব মওদূদী সাহেবের একটি মৌলিক থিওরী তিনি এভাবে প্রকাশ করেন :

رسول خدا کے سوا کسی انسان کو معیار حق نہ بنائے ، کسی بالا ترنه سمجھے ، کسی کی ذہنی غلامی میں کو تنقید سے مبتلانه ہو ۔

অর্থঃ রাসূলে খোদা ছাড়া অন্য কাউকে সত্যের মাপকাঠি বানাবে না। কাউকে সমালোচনার উর্দ্ধে মনে করবে না। কারো মানুষিক গোলামীতে লিপ্ত হবে না। (দত্তুরে জামাআতে ইসলামী পৃঃ ১৪, সত্যের আলো পৃঃ ৩০)

এই থিওরীর উপর ভিত্তি করে তিনি অন্যত্র লিখেন :

میں نے دین کو حال یا ماضی کے اشخاص سے سمجھنے کی بجائے ہمیشہ قرآن وسنت ہی سے سمجھنے کی کوشش کی ہے ۔

অর্থঃ আমি অতীত বা বর্তমানের ব্যক্তিবর্গের নিকট হতে দ্বীন বুঝার পরিবর্তে সর্বদা কুরআন সুন্নাহ থেকেই বুঝতে চেষ্টা করেছি। এ কারণে খোদার দ্বীন আমার ও প্রত্যেক মুমীনের নিকট কি চায় তা জানার জন্যে এটা দেখতে চেষ্টা করিনি যে অমুক অমুক বুজুর্গ কি বলেন। বরং সর্বদা এটাই দেখতে চেষ্টা করেছি যে, কুরআন কি বলে ও রাসূল (সাঃ) কি বলেছেন। -রুয়েদাদে জামাআত তৃতীয় খন্ড পৃঃ ৩৭ সূত্র মওদূদী ছাহেব আওর উনকী তাহরীরাত পূঃ ৯০ প্রকাশ ঃ দারুল ইশাআত – করাচী ।

সারকথা মওদূদী সাহেবের মতে সত্যকে জানার ও অনুসরণের জন্যে রাসূল (সাঃ) এর পর আর কোন নির্ভর যোগ্য মাধ্যম নাই। এই থিওরীর অন্তরালে তিনি কুরআন ও হাদীস থেকে দ্বীনকে বুঝার ও অনুসরণের ক্ষেত্রে সাহাবায়ে কিরামের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করেছেন ।

এছাড়া সাহাবায়ে কিরামের জীবনে বিভিন্ন ভাবে কালিমা লেপনের জন্যে তিনি “খেলাফত ও মুলুকিয়্যাত” নামে স্বতন্ত্র কিতাবও লিখেছেন। সবগুলোরই সারকথা হল যে, সত্যকে জানা ও মানার জন্যে সাহাবাদের জামাত নির্ভরযোগ্য নয়, বরং জামাআতে সাহাবার উপর নির্ভর করা যাবে। না। তাঁদের অনেকেই পাপী ছিলেন এজন্যে তাঁরা পরবর্তীদের যাচাই বাছাইয়ের ঊর্ধ্বে নন।

অথচ ইসলামে রয়েছে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান, ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সব ক্ষেত্রেই তার ব্যাপ্তি, এসব ক্ষেত্রে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল শুধু বিধান শুনিয়ে ক্ষান্ত হননি বরং বিধান সমূহ কার্যকর করে দুনিয়ার সামনে তার আমলী নমুনা রেখে গেছেন। আর আল্লাহ ও তার রাসূলের বিধানাবলীর কার্যক্ষেত্রই ছিল যে পরিবার, যে সমাজ, যে রাষ্ট্র তার নাম জামাআতে সাহাবা। শুধু বিধান বলে গেলে কার্যক্ষেত্রে তার রূপরেখাকে বিকৃত করে ফেলত পরবর্তী যুগের বক্র স্বভাবের লোকেরা। তার থেকে হেফাজতের জন্যেই প্রয়োজন ছিল উক্ত জামাতের। আর যেহেতু আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিধানাবলীর প্রাক্টিক্যাল রূপই হচ্ছে সাহাবায়ে কিরামের জীবনী, তাই মূল বিধানাবলীর অনুসরণের ক্ষেত্রে তাদের জীবনও হবে মাপকাঠি। এটাই স্বাভাবিক। এই কারণে কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে সাহাবায়ে কিরামের ঈমান, আমল ও ইলমকে অন্যদের জন্যে অনুসরণীয় হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে যথাঃ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন :

فان امنوا بمثل ما آمنتم به فقد اهتدوا وان تولوا فانما هم في

شقاق .

অর্থঃ (সাহাবাদের লক্ষ্য করে বলা হচ্ছে) তারা যদি তোমাদের মত ঈমান আনয়ন করে তাহলে হেদায়াত পাবে আর যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তারাই হঠকারিতায় রয়েছে। সূরায়ে বাকারা আয়াত ১৩৭

অন্যত্র ইরশাদ করেন :

ومن يشاقق الرسول من بعد ماتبين له الهدى ويتبع غير

سبيل المؤمنين نوله ما تولى ونصله جهنم وساءت مصيرا .

অর্থঃ আর যে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পরও রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মুমিনদের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে আমি তাকে সেদিকেই ফিরাব এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা হল নিকৃষ্ট গন্তব্যস্থান। সূরায়ে নিসা আয়াত ১১৫

এই আয়তে মুমিনদের পথ বলতে প্রথমতঃ যারা উদ্দেশ্য তারা হলেন

জামায়াতে সাহাবা ।

অন্য আয়াতে কুরআনে পাক প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআ’লা ইরশাদ করেন-

بل هوايات بينات في صدور الذين أوتوا العلم .

অর্থঃ বরং যাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হয়েছে তাদের অন্তরে ইহা তো স্পষ্ট আয়াত – সূরায়ে আনকাবূত আয়াত ৪৯। এই আয়াতেও যাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হয়েছে তাদের দ্বারা প্রথম উদ্দেশ্য সাহাবায়ে কিরাম।

পক্ষান্তরে রাসূলে আকরাম (সাঃ) ও বিভিন্ন হাদীসে সাহাবায়ে কিরামের অনুসরণের তাকীদ করেছেন যথা ঃ-

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ستفترق امتى ثلاثاً و

سبعين فرقة كلهم في النار ،الاواحدة قالوا من هي يارسول الله

قال ما انا عليه واصحابي .

অর্থঃ অতিশীঘ্র আমার উম্মত তেহাত্তর ফেরকায় বিভক্ত হয়ে পড়বে তন্মধ্যে একটি জামাআত হবে জান্নাতী আর বাকীগুলো হবে জাহান্নামী। উপস্থিত সাহাবারা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! জান্নাতী দল কারা হবে ? উত্তরে রাসূল (সাঃ) বললেন : যারা আমার ও আমার সাহাবাদের তরীকার অনুসারী হবে। (তিরমিযী শরীফ ২য় খন্ড পৃঃ ৯৩)

অন্য হাদীসে ইরশাদ ফরমান :

فعليكم بسنتى وسنة الخلفاء الراشدين

অর্থঃ (উম্মতকে লক্ষ্য করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেন) তখন তোমাদের জন্যে আমার ও খোলাফায়ে রাশেদীনের তরীকা মত চলা অত্যাবশ্যক। (আবু দাউদ শরীফ ২-৬৩৫)

এছাড়াও কুরআনের বহু আয়াত ও রাসূলের বহু হাদীস দ্বারা এ কথা সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত যে, কুরআন-হাদীস মুতাবিক ইলম ও আমলের ক্ষেত্রে সাহাবায়ে কিরামের অনুসরণ জরুরী। এক্ষেত্রে সাহাবাদের পথ ও মতকে বর্জন করে কুরআন হাদীসের জ্ঞানার্জন ও তদনুযায়ী আমল সম্ভব নয়। লক্ষাধিক সাহাবীর মধ্যে সবাই অনুসরণযোগ্য। কুরআন হাদীসের কোথাও এ ক্ষেত্রে কোন সাহাবীকে বাদ দেওয়া হয় নাই। কোন সাহাবীর দ্বারা কথনো গুনাহ হয়ে গেলে তাও হয়েছে গুনাহের পরে তাওবার পদ্ধতির ক্ষেত্রে উম্মতের অনুসরণযোগ্য হওয়ার জন্যেই। দ্বিতীয়ত : নবী (সাঃ) যেহেতু সবকিছু বাস্তব নমুনা হিসাবে দেখিয়ে গেছেন তাই ইসলামী দণ্ডবিধির বাস্তব প্রয়োগবিধি শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে দু একজন সাহাবী থেকে ভুল প্রকাশ পেয়েছে। একারণেই রাসূলে খোদা (সাঃ) ইরশাদ করেছেনঃ

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أوحى الله يا محمد ان اصحابك عندى كالنجوم بعضها اضواً من بعض ولكل نور فمن اخذ بشي مماهم عليه من اختلافهم فهو عندى على الهدى – رواه الدار قطني .

অর্থঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন আল্লাহ অহী পাঠিয়েছেন যে, হে মুহাম্মাদ! আপনার সাহাবীগণ আমার নিকট নক্ষত্রতুল্য, কেউ অতি উজ্জল কেউ তার চেয়ে কম, তবে সকলেরই আলো আছে। অতএব, তাদের মতবিরোধের ক্ষেত্রেও যে কোন এক পক্ষকে অনুসরণ করলেই সে অনুসারী আমার নিকট হেদায়াত প্রাপ্ত বলে গণ্য হবে।

(কেননা, তাদের বিরোধ হবে ইজতেহাদী, আর সঠিক ইজতেহাদের কোন অংশকেই নিশ্চিত ভুল বলা যাবে না) হাদীসটির সনদে দুর্বলতা থাকলেও এমর্মে আরো অনেক হাদীস থাকায় এবং হাদীসটি বিষয় বস্তু কুরআনের বিভিন্ন আয়াত ও অপরাপর হাদীস সমর্থিত হওয়ায় হাদীসটি সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য (অবশ্য কারো মতে কুরআন-হাদীসের সমর্থন গ্রহণযোগ্য না হয়ে নিজের মনের সমর্থন গ্রহণ যোগ্য হলে তা ভিন্ন কথা)।

তাফসীরে মাযহারী ২য় খন্ড পৃঃ ১১৬ মোটকথা সাহাবায়ে কিরামের সত্যের মাপকাঠি হওয়ার বিষয়টি কুরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত, সাথে সাথে যুক্তি সংগতও। অথচ মওদূদী সাহেব তাঁর দলের জন্যে আইন প্রণয়ন করে গেলেন যে, রাসূলে খোদা ছাড়া আর কাউকে যেন সত্যের মাপকাঠি না বানানো হয়। কি দোষ করেছেন হযরত আবু বকর ও উমার (রাঃ), যাদেরকে সত্যের মাপকাঠি বানানো যাবে না। হযরত উমার বিন আব্দুল আযীযের রাষ্ট্র ব্যবস্থা, মুজাদ্দিদে আলফেসানীর সংস্কার, আঈম্মায়ে মুজতাহেদীনের ইজতেহাদ, হযরত আবদুল কাদের জীলানীর তাযকিয়া ও মা’রিফাতকে অনুসরণ করে যদি কোটি কোটি মানুষ হিদায়াতের ও নাজাতের আশা করতে পারে তাহলে রাসূলে আকরামের মত পরশপাথরের ছোয়ায় ধন্য ও তার হাতে গড়া জামাআতের জীবনী, কথা ও কাজ কেন অনুসরণযোগ্য হবে না?

বস্তুতঃ রাসূল ছিলেন দ্বীন নামক দূর্গের নির্মাতা। সাহাবায়ে কিরাম ছিলেন সে দুর্গের সুদৃঢ় প্রাচীর। তাদের উপর নির্ভর না করা হলে দ্বীনের ধ্বংস অনিবার্য । ইসলামের অতীত ইতিহাসের গোমরাহ দলগুলো সর্বদা এই প্রাচীরকেই ধ্বংস করতে চেষ্টা করেছে।

তাছাড়া মওদূদী সাহেব শুধু সাহাবাগণকে সত্যের মাপকাঠি স্বীকার করেননি তা নয় বরং বিভিন্ন ভাবে সাহাবায়ে কিরামের কুৎসা রটিয়েছেন। সে সূত্রে তিনি বলেনঃ

بسا اوقات صحابه پر بهی بشری کمزوریوں کا

غلبہ ہو جاتا تھا

অর্থঃ সাহাবাদের উপর প্রায়ই মানবিক দুর্বলতা প্রভাব বিস্তার করত।

সূত্রঃ মওদূদী ছাহেব আওর উনকী তাহরীরাত ৮৫

– তাফহীমাত ৪র্থ সংস্করণ পূঃ ২৯৬
তাছাড়া উহুদ যুদ্ধে মুসলমানদের পরাজয়ের (মওদূদীর ভাষায়) বড় বড় কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে জনাব মওদূদী লিখেনঃ যে সমাজে সুদের প্রচলন থাকে সেখানে সুদ খোরীর কারণে দুই ধরনের নৈতিক রোগ দেখা দেয়। সুদ গ্রহণ কারীর মধ্যে লোভ-লালসা, কৃপনতা ও স্বার্থান্ধতা এবং সুদ প্রদানকারীদের মধ্যে ঘৃণা-ক্রোধ, হিংসা ও বিদ্বেষ জন্ম নেয়। উহুদের পরাজয় এ দুই ধরনের রোগের কিছু না কিছু অংশ ছিল।

তাফহীমুল কুরআন বাংলা ৪র্থ পারা ২য় খন্ড ৬৫ পৃঃ আধুনিক প্রকাশনী ৩য় সংস্করণ।

চিন্তা করে দেখুন! উদ্ধৃত প্রথম বক্তব্য দ্বারা যে মানবিক দুর্বলতার কথা বলেছেন তারই সম্ভবতঃ কিছুটা ব্যাখ্যা করেছেন উহুদের ঘটনায় গিয়ে। অর্থাৎ মানবিক দুর্বলতাগুলো ছিল : লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, কৃপণতা ও ঘৃণা ইত্যাদি। অথচ উহুদ যুদ্ধে যারা শরীক ছিলেন, তারা সকলেই ছিলেন নবীজীর প্রথম সারির ছাহাবা। আল্লাহ তাআ’লা তাদের প্রশংসায় কত আয়াত নাযিল করেছেন। কিন্তু মওদূদী সাহেব নির্দ্বিধায় পাইকারী হারে তাদের দোষচর্চা করে গেলেন। শুধু তাই নয় আশারায়ে মুবাশশারাহ (জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত দশজন) থেকে শুরু করে কাতেবে ওহী পর্যন্ত অনেকেই রেহাই পাননি মওদূদী সাহেবের কলমের আক্রমন থেকে। যার জ্বলন্ত প্রমাণ পাবেন মওদূদী সাহেবের লিখিত খেলাফত মূলুকিয়াত ও তার পাশাপাশি জাষ্টিস তকী উসমানীর লিখা “ইতিহাসের কাঠগড়ায় হযরত মুআবিয়া” এবং হযরত শামছুল হক ফরীদপুরীর লেখা “ভুল সংশোধন” পড়ে দেখলে।

এসবের দ্বারা তিনি যেমন ছাহাবাদের পবিত্র জামাআতকে উম্মতের সামনে কলঙ্কিত করতে চেয়েছেন। অপরদিকে রাসূলের হাতে গড়া স্বর্ণমানবের দল ছাহাবাকে কলঙ্কিত করে স্বয়ং রাসূলকেও চরম ব্যর্থ প্রমাণ করতে প্রয়াস পেয়েছেন। কেননা, কিয়ামত পর্যন্ত আগত মানুষের জন্যে রূহানী চিকিৎসক যদি বছরকে বছর তার সংস্পর্শে থাকা রোগীদেরকেই পূর্ণ চিকিৎসা করতে না পারেন। বরং তার সংস্পর্শীদের মাঝে “প্রায়ই সে রোগগুলো প্রভাব বিস্তার করে থাকে”। তাহলে এমন চিকিৎসককে সফল কে বলবে ?
অথচ স্বয়ং রাসূলে কারীম (সাঃ) তাঁর সাহাবাদের সম্পর্কে কটূক্তি কিংবা সমালোচনা করতে উম্মতকে বার বার এবং কঠোর ভাষায় নিষেধ করে গেছেন। এ ব্যাপারে কয়েকটি হাদীস নিম্নে প্রদত্ত হল –

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تسبوا اصحابی فان احدكم لو انفق مثل أحد ذهبا ما بلغ مد احدهم ولا نصيفه .

অর্থঃ রাসূল (সাঃ) উম্মতকে লক্ষ করে ইরশাদ করেন, তোমরা আমার সাহাবাদের মন্দ বলবেনা কেননা তোমাদের কেউ উহুদ পাহাড়সম স্বর্ণ সদকা করলেও তাদের একসের বা আধাসেরের সমান হবে না। বুখারী মুসলিম – সূত্রঃ মিশকাত পৃঃ ৫৫৩

عن عبد الله بن مغفل قال قال رسول الله صلى الله – * عليه وسلم الله الله فى اصحابى لا تتخذوهم غرضا من بعدى فمن احبهم فبحبى أحبهم ومن ابغضهم فببغضى ابغضهـ

অর্থঃ রাসূল (সাঃ) ইরশাদ ফরমান : আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহকে ভয় কর আমার সাহাবদের বিষয়ে। তাদেরকে সমালোচনার পাত্র বানাবে না। যারা তাদেরকে ভালবাসবে আমার মুহব্বতেই তা করবে। আর যারা তাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করবে তারা আমার সাথে শত্রুতাহেতু তাদের শত্রু হবে….. তিরমিযী ২-২২৫ মিশকাত- ৫৫৪

عن ابن عمر رض قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم – اذا رأيتم الذين يسبون اصحابي فقولوا لعنة الله على شركم .

অর্থঃ রাসূল (সাঃ) ইরশাদ ফরমান, তোমরা যখন ঐ সকল লোকদেরকে দেখবে যারা আমার সাহাবাদের মন্দ বলে তখন তোমরা বলবে তোমাদের অনিষ্টের প্রতি আল্লাহর লা’নত হোক। তিরমিযী ২-২২৫ মিশকাত ৫৫৪

মোটকথা সাহাবায়ে কিরাম- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দৃষ্টিতে অনেক সম্মানী জামাআত। আল্লাহ তাদের সকলের প্রতি সন্তুষ্টির ঘোষণা দিয়েছেন। রাসূল (সাঃ) তাদেরকে সমালোচনার পাত্র বানাতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। বিস্তরিত জানতে হলে দেখেন মুফতী শফী (রহ.) প্রণীত “মাকামে সাহাবা” নামক কিতাবটি ।

আর এ কারণেই আকাইদের বিখ্যাত কিতাব “মুছায়রাতে” উল্লেখ

করা হয়েছে যে :

الصحابة وجوبا جميع واعتقاد اهل السنة والجماعة تزكية

অর্থঃ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বীদা হল যে, সকল সাহাবীকে নির্দোষ বলা ওয়াজিব।

মুসায়ারাহ পৃঃ ১৩২ দেওবন্দ। সূত্রঃ মাকামে সাহাবা – পৃঃ ৭৯ তেমনিভাবে শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া লিখেন :

ومن اصول اهل السنة والجماعة سلامة قلوبهم والسنتهم

لاصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم .

অর্থঃ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মৌলিক বিশ্বাস হল যে,

রাসূলের সাহাবাদের ব্যাপারে নিজ অন্তর ও জিহ্বাকে পরিষ্কার রাখবে। শরহে আক্কীদায়ে ওয়াসিত্বিয়্যাহ পৃঃ ৪০৩ সূত্র মাকামে সাহাবা পৃঃ ৭৯ আল্লামা ইবনে তাইমিয়া আরো বলেন –

لا يجوز لاحد ان يذكر شيئا من مساويهم ولا أن يطعن على

منهم بعيب ولا نقص فمن فعل ذلك وجب تاديبه . أحد

অর্থঃ সাহাবাদের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করা কারো জন্যেই জায়িয নাই। যে এমন করবে তাকে শাস্তি দেওয়া ওয়াজিব। আস্সারিমূল মাল ।

সূত্রঃ মাকামে সাহাবা – ৭৭

ইমাম নববী বলেন :

الصحابة كلهم عدول من لابس الفتن وغيرهم باجماع من

يعتد به.
অর্থঃ গ্রহণযোগ্য সকলের এ ব্যাপারে ইজ্‌মা যে সকল সাহাবী নিরপরাধী, এমনকি যারা পরস্পর বিগ্রহে পতিত হয়েছেন তাঁরাও। তাক্বরীব সূত্র : মাকামে সাহাবা পৃঃ ৭৭

ইমাম মুসলিমের উস্তাদ ইমাম আবু যরআহ বলেনঃ

اصحاب رسول الله صلى الله من أحدا اذا رأيت الرجل ينتقص

عليه وسلم فاعلم انه زنديق .

অর্থঃ যখন কাউকে কোন সাহাবীর দোষ-বর্ণনা করতে দেখ তাহলে জেনে নাও যে সে হল যেন্দীক (ধর্মদ্রোহী)। আদ্দুররাতুল মুযিয়্যাহ।

সূত্রঃ মাকামে সাহাবা ৭৯

তেমনি ভাবে প্রসিদ্ধ আকীদার কিতাব শরহে আকীদাতুত্বাহাবিয়্যাহ । উল্লেখ আছে …..

۹۷ – ونحب اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم بان ولا نذكرهم الا بخير وحبهم دین وایمان واحـ وبغضهم كفر ونفاق وطغيان .

অর্থ : আমরা সকল সাহাবীকে ভালবাসী তাদের শুধুমাত্র ভালোর আলোচনাই করি। তাদের প্রতি ভালবাসা দ্বীন, ঈমান ও ইহসানের পরিচায়ক আর তাদের প্রতি শত্রুতা পোষণ কুফর, মুনাফেকী ও অবাধ্যতার পরিচায়ক। আকীদা নং ৯৭-

উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা বুঝা গেল যে সাহাবাদের সমালোচনাকারী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বহির্ভূত ও গোমরাহ দলের অন্তর্ভুক্ত।

শেয়ার করুন

18 thoughts on "দ্বীন সম্পর্কে মওদূদী সাহেবের কয়েকটি বক্তব্য"

  1. Kellyt says:

    Your site’s position in the search results https://zetds.seychellesyoga.com/info

  2. Lindat says:

    Can provide a link mass to your website https://zetds.seychellesyoga.com/info

  3. Estert says:

    Your site’s position in the search results https://zetds.seychellesyoga.com/info

  4. Naomit says:

    I offer mutually beneficial cooperation https://zetds.seychellesyoga.com/info

  5. Roset says:

    Here’s what I can offer for the near future https://zetds.seychellesyoga.com/info

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরির আরো
© All rights reserved © 2019 www.izharehaq.com
Theme Customized BY Md Maruf Zakir