1. info@izharehaq.com : MZakir :
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মুখোশ উন্মোচন (মওদূদী মতবাদ) আহলে সুন্নতের ফিক্বাহ শাস্ত্রের ইমাম: ইসলামী আমলের ক্ষেত্রে বিদয়াতীদের চক্রান্ত আহলে সুন্নতের আক্বীদামতে মহানবীর মর্যাদা: অতি ভক্তি কিসের লক্ষণ রেজভীদের চক্রান্ত হুবহু ইবনে সাবার চক্রান্তের মত: রাসূলকে আলিমুল গাইব বলা সাবায়ী চক্রান্ত: আহলে সুন্নত ওয়াল জমা’ত সুবিন্যস্ত হওয়ার ইতিহাস কুরআন ও হাদীসের ভাষায় ছিরাতে মুস্তাক্বীম বা সোজা পথ: নবুওয়াত ও রিসালত: মওদুদীবাদ ইবাদত: মওদুদীবাদ কুরআন মাজীদ ও দ্বীনের সংরক্ষণ: কুরআন সংরক্ষণের অর্থ: কুরআন সংরক্ষণে খোদায়ী ব্যবস্থাপনা: মওদুদীবাদ দ্বীন কী? দ্বীনে নূহ: দ্বীনে ইব্রাহীম: দ্বীনে ইসমাঈল: দ্বীনে ইউসুফ: দ্বীনে মূসা: দ্বীনে ঈসা: মওদূদীবাদ মওদুদী সাহেবের শিক্ষা-দীক্ষার পরিধি গোয়েবলসীয় নীতি : হিটলারের ঐ মুখপাত্রও ”জামাত-শিবিরের মিথ্যাচারের কাছে হার মানায়”: পর্ব ১ ইক্বামাতে দ্বীনের তাৎপর্য এবং বাতিলপন্থীদের বিকৃত ব্যাখ্যা সাহাবাগণ রাঃ সত্যের মাপকাঠি এবং তাদের ইজমা সর্বসিদ্ধান্ত মতে শরীয়তের দলীল সাহাবা রাঃ গণ সত্যের মাপকাঠি খোলাফায়ে রাশেদীনগণের সোনালী আদর্শ সর্বসম্মতিক্রমে শরিয়তের দলীল শায়খ আলিমুদ্দীন দুর্লভপুরী”র ঐতিহাসিক ও তাত্বিক বক্তব্য: “তাঁরাই সত্যের মাপকাঠি” শায়খ আলিমুদ্দীন দুর্লভপুরী”র ঐতিহাসিক ও তাত্বিক বক্তব্য: সাহাবায়ে কেরাম “সত্যের মাপকাঠি: মিয়ারে হক: সত্যের মাপকাঠি: কুরআন-হাদীস এবং মওদূদী সাহিত্যের আলোকে: পর্ব-৬ মিয়ারে হক: সত্যের মাপকাঠি: কুরআন-হাদীস এবং মওদূদী সাহিত্যের আলোকে: পর্ব-৫

সাহাবাগণ রাঃ সত্যের মাপকাঠি এবং তাদের ইজমা সর্বসিদ্ধান্ত মতে শরীয়তের দলীল

মুফতী মাওলানা ইব্রাহীম খান
  • আপডেট সময় : রবিবার, ১০ মার্চ, ২০২৪
  • ২৯৪ বার পড়া হয়েছে

হযরতে আম্বিয়ায়ে কিরামগণের (আঃ) পর আবেদ, মুত্তাকী, জাহেদ, পরহেজগার, ইত্যাদি প্রশংসিত উদ্দেশ্যমূলক গুনার্জনের নিরিখে সাহাবাগণ (রাঃ) এর চেয়ে শ্রেষ্ঠতর স্থান আর কেউ অর্জন করতে পারেনি। যার ফলশ্রুতিতে আল্লাহ পাক তাঁদের নামকে তিনার পবিত্র কালামে পাকে অতি সম্মানী এবং ইজ্জতের উপাধিতে ভূষিত করেন। তিনি তার চিরকালীন এবং অনন্তকালীন সন্তুষ্টি এবং রেজামন্দির সার্টিফিকেট এবং সনদ পত্রের সুসংবাদ দান করেছেন। যেমন-

قَوْلُهُ تَعَالَى السَّابِقُونَ الْأَوَّلُونَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ وَالَّذِينَ اتَّبَعُوهُمْ بِإِحْسَانٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ ۱۲

অর্থ : যে সমস্ত মানুষ (ধর্মের খাতিরে) সর্বপ্রথম হিজরতকারী এবং সাহায্যকারী এবং যারা তাদের আনুগত্যকারী ভাল কাজ করার ব্যাপারে আল্লাহ তাদের সকলের উপরেই সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট। আল্লাহ পাক তার পবিত্র কিতাবে সম্পূর্ণ পূর্বগামী (সাবেকোল

আউয়ালীন) গণকে চাই মোহাজের হউক বা আনছার হউক তাদের আনুগত্যকারীগণকে নিজের খোশনূদী এবং সন্তুষ্টির সুসংবাদ দান করেছেন। আল্লাহ পাক তাহা উক্ত ইরশাদের মধ্যে মোহাজের এবং আনছারদের পূর্বগামী এবং অন্তগামী উভয় দলই এমনকি এক তাফসির অনুসারে তাবেয়ীন কেরামগণ (আল্লাজিনা ত্বাবাউহুম) আল্লাহর সন্তুষ্টির সনদ প্রাপ্ত হয়েছেন বলে স্বীকৃতঃ আল্লাহ তাদের উপর সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট। হযরত নবী করীম (সঃ) তাদেরকেও আমাদের জন্য সত্যের মাপকাঠি বলে স্বীকৃত দিয়েছেন। সুতরাং হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) মৃত ৬৮ হিঃ বর্ণনা করেন- রেওয়ায়েতের মধ্যে শব্দগতভাবে আংশিক মতোবিরোধ পরিলক্ষিত হলেও, সবগুলোর উদ্দেশ্য একই। যেমন- হযরত নবী করীম (সঃ) ফরমান

إِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ تَفَرَّقَتْ عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةٍ وَتَفْرَقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ مِلَّةٍ كُلُّهُمْ فِي النَّارِ الأَمِلَةَ وَاحِدَةً قَالُوا مَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي يَرْسِنِي ۱۲۹ مشكوة ج ١ ص ٣٠ وفي رواية آخر شریف ج ۲ ص ۸۹ : ج ۲ ص ۸۹ مُستدرك صا اهي الجَمَاعَةُ ابوداؤد ج ٢ ص ٢٧٥
অর্থাৎ ইহাই একমাত্র নাজাতপ্রাপ্ত দল সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)। ইসলামকে উক্ত জমাত থেকে কর্তন করে পৃথক করা হইবে না। বর্ণিত রেওয়ায়েত থেকে একথা প্রতিয়মান যে, যেমনিভাবে হুজুর (সঃ) এবং খোলাফায়ে রাশিদ্বীনগণের সুন্নত আমাদের জন্য উজ্জ্বল হেদায়েত স্বরূপ, তেমনিভাবে مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي এর অর্থানুসারে সাহাবাগণের কথা এবং কাজ বা আমল আমাদের দিক-নির্দেশনার জন্য সত্যের কষ্টিপাথর বা হাতিয়ার বিশেষ। একারণই জনাব নবী করীম (সঃ( مَانَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي এরশাদ করে নিজ প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য এবং নিজের সাহাবা কেরামগণের পবিত্র বৈশিষ্ট্যকেও সত্যে এবং মিথ্যাকে যাচাই করার মানদন্ড হিসাবে স্বীকৃত দিয়েছেন- শুধু কালো কালো চিত্রাবলীই মানদন্ড নয় বরং ঐ বৈশিষ্ট্য সত্যের মানদন্ড যা এ সমস্ত বর্ণনা সমষ্টি চিত্রাবলীর আমাল এবং অবস্থা সমূহের সমন্বয়ে একই রূপ ধারণ করে আছে। সুতরাং এখন তাদের বৈশিষ্টকে দ্বীন থেকে এবং দ্বীনকে তাদের বৈশিষ্ট্য থেকে পৃথক করে দেখার কোন পথ নেই।

مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي

উক্ত হাদীস শরিফ দ্বারা কেবল সাহাবাগণের (রাঃ) পবিত্রতা এবং ফজিলত ও মকবুলিয়াতই প্রমাণিত হয় না বরং উম্মতের জন্য হক ও বাতিলের মাহাত্মাপূর্ণ মানদন্ড হিসাবে স্বীকৃত। তদোপরি তারা কেবল সত্যের উপর অটলতা নয় বরং সত্যকে প্রমাণ করার জন্য মানদন্ড ও এক কষ্টি পাথর হিসাবে ও তারা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। যার কারণে অন্যান্যদের মধ্যেও সত্যের বাতি প্রভাবন্নিত হয়ে যায় এবং হক বাতেলের মধ্যে তাদের মানদন্ড مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِى 19 23 295 3g for a মত সুস্পষ্ট বর্ণনার দ্বারা দলীল হিসাবে প্রমাণিত। তারা এমনও নয় যেমনিভাবে বাতেল এবং পথভ্রষ্ট দলেরা তাদেরকে তিরস্কার ও ভৎসনার লক্ষ্যবস্তু নির্ণয় করে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহতায়ালার পবিত্র কালাম এবং সুন্নতে রাসুল (সঃ)-এর প্রতি তিরস্কার, অমার্জনীয় ধৃষ্টতাপূর্ণ নমরুদী ও ফেরাউনী আচরণের চেয়ে ও মারাত্মক আচরণ দেখাতে অপপ্রায়াস পেয়েছে এবং ইসলামের যথার্থকে ছিদ্র করে ধুলিষ্যাৎ করার জন্য অপচেষ্টা করেছে। যেখানে সাহাবাগণের (রাঃ) নির্ভরযোগ্যতা, আদালত ইনসাফপূর্ণ ন্যায়নীতি, সত্যবাদিতা ও খুলুছিয়াত এমনভাবে সর্বজনবিধিত এবং স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এবং যার উপর দ্বীনের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত সেখানে তাদের সমালোচনা করা দ্বীনের সত্যের মাপকাঠিকে ধুলিষ্ঠিত করারই নামান্তর মাত্র।

মুল্লা আলী কারী লিখেন-

الصَّحَابَةُ كُلُّهُمْ عُدُولٍ مَطْلَقًا لِظَوَاهِرِ الْكِتَابِ

يعتمد به مرقات ج ٥ ص ٥١٧ مَنْ وَالسُّنَّةِ وَإِجْمَاعِ مَن

অর্থ: সমস্ত সাহাবাই সমদৃষ্টি সম্পূর্ণ এবং নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি, আর তা পবিত্র কোরআনে পাক, সুন্নত এবং নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিগণের ইজমার প্রকাশ্য বর্ণনা ও সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত। মিরকাত খঃ ৫ পৃঃ ৫১৭

ইমাম ইজুদ্দিন আলী মোহাম্মদ আলজরী মৃতঃ ৬৩০ হিজরী তিনি লিখেন-

سَائِرَ الرُّوَاةِ فِي فِي جَمِيعِ ذَلِكَ وَالصَّحَابَةُ يُشَارِكُونَ إِلَّا فِي الْجَرْحِ وَالتَّعْدِيلِ فَإِنَّهُمْ كُلُّهُمْ عُدُولُ لَا يَتَطَرُقُ إِلَيْهِمُ الْجَرْحُ لِأَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَرَسُولُهُ زَكَاهُمْ وَعَدَّلَا

هُمْ وَذَالِكَ مَشْهُورُ لَا تَحْتَاجُ لِذِكْرِه ۱۲

অর্থ: সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) সমস্ত কথার মধ্যেই বর্ণনাকারীদের সাথে শরিক বা মিলিত। কিন্তু কোথাও তিরস্কার বা সমালোচনার কথা নেই। কেননা সকলের জানা মতে নির্ভরযোগ্য তাই তাদের ব্যাপারে কিছুতেই তিরস্কারমূলক সমালোচনা করা যায় না। কেননা আল্লাহতায়ালা এবং তার রসুল (সঃ) তাদের পবিত্রতা বা পরিষ্কারতা, পরিচ্ছন্নতা বর্ণনা করে দিয়েছেন এবং ইহা এমন সুপ্রসিদ্ধ কথা যা বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না।

অতএব প্রকৃত কথা হলো সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) কিয়ামত পর্যন্ত ভবিষ্যৎ উম্মতের জন্য সত্য, অসত্য, ভাল, মন্দ সুন্নত, বিদাত, উম্মতের ছোয়াব, আজাব ইত্যাদি কার্য পরীক্ষার ব্যাপারে কষ্টিপাথর এবং সত্যের মাপকাঠি। তারা যে সমস্ত কার্য সম্পাদন করেছেন তা অবশ্যই সত্য, সুন্নত এবং নাজাতের উছিলা বা কারণ এবং তাদের প্রত্যেকটি কথা এবং কাজ আমাদের উন্নতি এবং উভয় জগতে সৌভাগ্য অর্জনের চাবিকাঠি। আর তার ব্যতিক্রমকারী প্রত্যেক ব্যক্তির জন্যই ডেকে আনে ধ্বংস আর অকল্যাণ।

বিখ্যাত গাইরে মোকাল্লেদ আলেম মৌলানা হাফেজ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ সাহেব রাউপুরী লিখেন সাহাবীগণ (রাঃ) এর উক্তিকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করা নির্ভেজালভাবে ইসলাম ধর্মে স্বীকৃত (জামিয়া রেছালায়ে আহলে হাদীস) তিনি আরও লিখেন এ কথা সুপ্রকাশ্য যে, সাহাবাগণের (রাঃ) বর্ণনাসমূহ রসূল (সঃ) এর হাদীস হওয়াটাই বেশী যুক্তিসংগত এবং কোথাও যদি বোধগম্য বহির্ভুত হয় তাহলেও তা রসূল (সঃ) আদর্শের দিকে বেশী নিকটবর্তী হইবে। কেননা সাহাবা কেরামগণ (রাঃ) হুজুর (সঃ)-এর বাক পদ্ধতি দলীল গ্রহণের পদ্ধতি, আর সান্নিধ্যে থাকিয়া অবলোকন করতেন এবং সাহাবারা (রাঃ) তিনার ইশারা ও ইঙ্গিত ও বেশী বুঝতেন এবং পর্যবেক্ষণশীল বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত ব্যাপারে তারা (সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)গণ) খুবই সচেতন ও সচেষ্ট ছিলেন। অথচ সেই সাহাবাগণের (রাঃ) যুগের, পরের সকলেই বর্ণিত বিষয়সমূহ থেকে পরিপূর্ণ বঞ্চিত। এই জন্যই পরবর্তী যুগের ইজতিহাদের উপর সাহাবাগণ (রাঃ) এর কথাকে অগ্রাধিকার দেওয়া অপরিহার্য কর্তব্য এবং সাহাবাগণ (রাঃ) যেহেতু মাপকাঠি হওয়ার ব্যাপারে একক পর্যায়ের। সুতরাং তাদের জন্য একে অপরের কথাকে সর্বান্তকরণে মেনে নেয়া জরুরী নয়।

অর্থাৎ সাহাবাগণের (রাঃ) কথাসমূহ হুজ্জত বা দলিল হওয়ার অর্থ ইহাই যদি সাহাবায়ে কেরামগণ (রাঃ) কোন বিষয়ের উপর ইজমাও ঐক্যমত হয়ে যায় তাহলে তা হুজ্জত বা অকাট্য দলিল হওয়ার ব্যাপারে একমাত্র হতভাগ্যরাই সমালোচনা করবে।

যেমন-সাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া মৃতঃ ৭২৮ হিঃ লেখেন- সাহাবাগণের ইজমার আনুগত্য করা ওয়াজিব বরং সাহাবগণের (রাঃ) ইজমা দলিল হিসাবে অধিক শক্তিশালী এবং অন্যান্য বিষয় যেখানে (নছছে কোরআন-হাদীস) নাই সেখানে অবশ্যই অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত।

(ইকাসাতুত দলিল ১৩০)

এবং হাফেজুদ্দুনিয়া ইবনে হাজর আছকালানী মৃত ৮৫২ লেখন।

أَنَّ أَهْلَ السُّنَّةِ وَالجَمَاعَةِ مُتَّفِقُونَ عَلَى أَنَّ إِجْمَاعَ الصَّحَابَةِ حُجَّة ١٢ فتح الباري ج ٣ ص ٢٦٦

অর্থাৎ সাহাবাগণের (রাঃ) ইজমা দলিল হওয়ার ব্যাপারে আহলে সুন্নত ওয়াল জমায়াত নিঃসন্দেহ ঐক্যমত পোষণকারী। ফতহুল বারী ৩/২৬৬ সাহাবা কেরামগণের (রাঃ) ইজমা দলিল হওয়ার সাপেক্ষে অসংখ্য প্রমাণ বরাত অর্থাৎ দলিল বিদ্যমান কিন্তু সমস্ত দলিল বর্ণনা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। সুতরাং নমুনা হিসাবে মাত্র কয়েকটির উপমা উপস্থাপিত করে অতি সংক্ষিপ্তাকারে সুধি-পাঠক মহলের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। যার দ্বারা একথা প্রকাশ্য দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, পবিত্র কোরআনে কারীম এবং হাদীসে রসূল (সঃ)-এরপর সাহাবা কেরামগণ দ্বীনের সত্যতা প্রমাণের জন্য মাপকাঠি এবং কষ্টি পাথর হিসাবে মনোনীত।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরির আরো
© All rights reserved © 2019 www.izharehaq.com
Theme Customized BY LatestNews