খ্যাতনামা আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলমকে ইসরাইলি বাহিনী অন্যায়ভাবে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটি বলেছে, এটি কেবল একজন ব্যক্তির মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, বরং সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপরও এক গভীর আঘাত।
বুধবার (৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি শাইখুল হাদিস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক ও মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, “শহিদুল আলম কোনো রাজনৈতিক চরিত্র নন, বরং একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী ও মানবতার কণ্ঠস্বর। গাজার নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষে দাঁড়ানো কোনো অপরাধ নয়; এটি একজন বিবেকবান মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।”
নেতৃদ্বয় বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, যেন অবিলম্বে শহিদুল আলমের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
তারা আরও বলেন, “গাজায় মুসলিম জনগণের ওপর চলমান অবরোধ, খাদ্য সংকট ও প্রাণহানির ঘটনাগুলো বিশ্ব বিবেককে নাড়া দেওয়ার মতো। এই মুহূর্তে গাজার শিশু, নারী ও নিরীহ জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবন রক্ষার দায়িত্ব শুধু মুসলিম উম্মাহর নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির।”
বিবৃতিতে গাজার ওপর চলমান গণহত্যা বন্ধে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ ও টেকসই শান্তি ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোর আহ্বান জানানো হয়।
