ঢাকা, ১৭ অক্টোবর ২০২৫:
মসজিদে ইসমতে আম্বিয়া (নবীগণের মর্যাদা) ও আজমতে সাহাবা (সাহাবায়ে কেরামদের শ্রেষ্ঠত্ব) সম্পর্কিত আলোচনা নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ইমাম ও খতিবদের উদ্দেশ্যে প্রেরিত একটি চিঠি দেশের ধর্মীয় অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে।
চিঠিতে reportedly বলা হয়, মসজিদে যেন এমন আলোচনা না হয় যা জামায়াতের ভাবমূর্তি বা অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে। এই বিষয়টি সামনে আসার পর বিভিন্ন আলেম, খতিব ও ইসলামপ্রেমী জনগণের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ধর্মীয় অঙ্গনের অনেকেই এই চিঠিকে “ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ” হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে, মসজিদ হলো আল্লাহর ঘর— এখানে ইসলামী ইতিহাস, নবী-রাসুল ও সাহাবায়ে কেরামদের মর্যাদা নিয়ে আলোচনা করা ইমামদের দায়িত্বের অংশ। কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন এ বিষয়ে নির্দেশনা দিতে পারে না।
একজন জ্যেষ্ঠ আলেম নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,
> “যদি আজকে মসজিদের মিম্বরে ইসমতে আম্বিয়া ও সাহাবাদের সম্মান নিয়ে আলোচনা করতেও বাধা দেওয়া হয়, তাহলে আগামী দিনে ধর্মীয় শিক্ষার স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জামায়াতে ইসলামীর এই অবস্থান দলটির ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের প্রয়াসের অংশ হতে পারে। তবে এর মাধ্যমে তারা ধর্মীয় অঙ্গনের অনেকের বিরাগভাজন হয়ে পড়ছে।
বেশ কয়েকজন বিশ্লেষক বলেন,
> “বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর মধ্যে আদর্শিক বিভক্তি পুরনো বিষয়। তবে ধর্মীয় প্রতীকের ব্যবহার নিয়ে যদি এ ধরনের সীমারেখা টানা হয়, তাহলে রাজনৈতিক মিত্রতা আরও জটিল হয়ে উঠবে।”
ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ মসজিদে ইসলামী ঐক্য, নবী-রাসুল ও সাহাবায়ে কেরামদের মর্যাদা রক্ষায় সকল ইমাম-খতিবকে সাহসিকতার সঙ্গে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা বলেন,
> “মসজিদের মিম্বার কোনো রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। ইসলামী ঐতিহ্য ও আকীদা রক্ষার জায়গা এটি।”
কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, এই বিতর্ক আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থী দলগুলোর মধ্যে আস্থা সংকট তৈরি করতে পারে। অনেকেই মনে করছেন, রাজনৈতিক ঐক্যের আগে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও নীতিগত স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি।